নগরীতে কুকুরদের সহায়তা প্রতিষ্ঠান পাও ফাউন্ডেশনের সত্ত্বাধিকারি রাকিবুল হক এমিল তার ফেসবুকে পেজে লিখেছেন পথশিশুদের কুকুরের দায়িত্ব নেয়ার গল্প।
তিনি তার ফেসবুক পেজে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, এই শিশুরা পথে পথে বেলুন বিক্রি করে। মিরপুর ১ নং এর প্রিন্স বাজারের সামনে তাঁদের দেখা পাই। বাদশা নামক কুকুরটি তো আছেই, সেই সাথে আরো দুইজন যুক্ত হয়েছে তাঁদের সাথে। কিন্তু এরা কিছুটা অসুস্থ বোধ করায় খুব দুশ্চিন্তা হচ্ছিল এই শিশু-কিশোরদের। আমার কাছ থেকে মিরপুর প লাইফ কেয়ারের PAW Life Care,Mirpur নাম্বার নিল। পরদিন রিক্সা নিয়ে ঠিকই ডাক্তার দেখাতে এসেছিল তারা। পর পর দুইদিন চিকিৎসা নিয়ে গিয়েছে তাঁরা।
তিনি লিখেছেন, আমাদের ভেট Fatiha Emnoor Eima’র জন্য একটা বেলুন নিয়ে এসেছিল উপহার স্বরূপ। কি সুন্দর তাঁদের মন! কতটা ভালবাসা তাঁদের হৃদয়ে! আমাদের ভেটরাও চমৎকার মানুষ এক একজন। PAW Foundation (People for Animal Welfare). এর একজন সদস্য হিসেবে এর চেয়ে আর কি বড় প্রাপ্তি হতে পারে আমার!
‘এক সময় স্বপ্ন দেখতাম- যে কোন প্রাণিপ্রেমি মানুষই তার ভালবাসার প্রাণিটিকে চিকিৎসা সেবার আওতায় আনতে পারবে। প্রাণিরা অসুস্থ হলে যে ভেট দেখাতে হয়- এই সচেতনতা তৈরি হবে। এক সময় এদেশের পথপ্রাণিরা ভেটদের ক্লায়েন্ট ছিল না। ছিল শুধু পোষা প্রাণিরাই। এখন দিন বদলেছে। এখন ভেটরাও জানেন, পথ প্রাণিদেরকেও রেস্কিউ করে নিয়ে আসতে পারেন প্রাণিপ্রেমিরা। কাজেই, তারাও অবশ্যই ক্লায়েন্ট। সমান গুরুত্ব পায় একজন নৈতিক ও মানবিক ভেটের কাছে।’ – লিখেছেন এমিল।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সব না পারলেও, কিছুটা তো শুরু করে দিয়ে যেতে পারবো আমরা। প্রতিটি সংগঠক, এক্টিভিস্টকে নিজের কাজের প্রতি সৎ ও একাগ্র থাকা খুব জরুরী। আমাদের ব্যক্তি স্বার্থের চাইতেও বিশাল এক ব্রত নিয়েছি আমরা, সেটিকে সম্মান নিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা