অনলাইন ডেস্ক
বুধবার (৩০ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বিএফইউজের সাবেক সভাপতি ও সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর কারামুক্তি উপলক্ষে এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘খুব জোর গলায় বলা হচ্ছে, গরিব এক কোটি মানুষদের এক কোটি কার্ড দেওয়া হয়েছে। অথচ আজকে পত্রিকায় দেখতে পারবেন, আমার নিজ জেলা ঠাকুরগাঁয়ে একজনকে কার্ড দিয়েছে- যিনি হচ্ছেন জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভানেত্রী। তার দোতালা বাড়ি আছে। অথচ তার পাশেই গরিব মানুষ, যার ঘরে ভাতের চাল নেই। থাকার জন্য ঘরও নেই। সে কোনো কার্ড পায়নি। এটা কেবল ঠাকুরগাঁয়ে না, এই অবস্থা গোটা দেশের।’
ফখরুল বলেন, ‘দেশের মানুষের এমন অবস্থা; মানুষ টিসিবির ট্রাকের পেছনে লাইন দিচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনী জিনিসপত্র কেনার মতো টাকাও মানুষের কাছে নেই। নিত্যপণ্যের দাম নিয়মিত বাড়ছে। আর ওই সময় ভারত থেকে বিখ্যাত গায়ক এনে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) গান শুনছেন। যার পেছনে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন এমন একটা অবস্থা চলছে; এত খারাপ অবস্থা কখনো দেখিনি। কোনো রকমের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, ন্যূনতম স্বাধীনতা, একজনের সঙ্গে আরেক জনের সৌজন্য নিয়ে কথা বলা- এর কোনোটাই এখন আর নেই। থাকবেই-বা কী করে? চাকর যদি মালিক বনে যায়, তখন তো পরিস্থিতি এই অবস্থাতেই দাঁড়াবে। আজকে দেশে সেই অবস্থা হয়েছে। এমন সব কথা এমন মানুষ বলছে, যাদের জীবন চলে জনগণের টাকায়। যাদের বেতন হয় জনগণের টাকায়। আর তারা কি-না সব কিছুর মালিক হয়ে ক্ষমতায় বসে আছে।’
সাংবাদিকদের ওপর অত্যাচার নতুন কোনো ঘটনা নয় মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, যারা ক্ষমতায় থাকেন তারা সবসময় সত্য কথা বলা বা লেখা মানুষদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের নির্যাতন করেন, কারাগারে নিক্ষেপ করেন। অনেক সময় তাদের গুম করেন বা মেরে ফেলেন। সাগর-রুনির মতো সাংবাদিক দম্পতির হত্যাকারীদের এখনও খুঁজে বের করতে পারেনি।
গণমাধ্যমকর্মী আইন সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আইনটা কারা করবে? আইনটা করার কথা সাংবাদিকদের। অথচ তাদেরকে সেই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। সাংবাদিকদের আইন করছে সংসদ সদস্যরা। সেই আইন যে কী হবে, সেটা আমরা বুঝতে পারছি।
তিনি আরো বলেন, নতুন একটা বিল আসতেছে। ৩৪ পৃষ্ঠার একটা খসড়া দিয়েছে। কিছুদিন আগে বললো, বিটিআরসি নাকি কন্ট্রোল করবে সোশ্যাল মিডিয়া! সোশ্যাল মিডিয়াকে কী করে কন্ট্রোল করা যায় তারও একটা আইন আসছে। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে এটাকে একটা কর্তৃত্ববাদী না বলে বরং বলা যায়, ক্রমে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ। এখানে সত্য কথা বলার স্বাধীনতা তো নেই, বরং সত্য কথা বললে হামলা-মামলা-গুম এসবও হতে পারে। বর্তমানে এরকম একটা অবস্থা তৈরি হতে যাচ্ছে।
নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল্লাহ, জামায়াত নেতা মতিউর রহমান আকন্দ, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, ডিউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, কবি আব্দুল হাই শিকদার প্রমুখ।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা