প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার একটি বিষয় আর মানুষের মনের মণিকোঠায় জায়গা করে নেওয়া আর একটি বিষয়। বাংলাদেশের গর্ব নোবেল তার প্রতিভা দিয়ে এই দ্বিতীয় কাজটি করে নিয়েছেন। আর তাই দুই বাংলায় আজ অধিকাংশ মানুষের মনে তার স্থান। নোবেল খুব ভালো ছেলে। ওর খুব ভালো হবে আমি ওর সাথে আছি। ও সব কাজে আমাকে পাবে সাথে- কালের কণ্ঠকে এমনটাই জানান সুরকার, গায়ক ও লেখক অনুপম রায়। প্রখ্যাত পরিচালক সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত ‘ভিঞ্চি দা’ সিনেমার একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন নোবেল। ‘তোমার মনের ভেতর’ শিরোনামের গানটির কথা লিখেছেন ও সুর করেছেন অনুপম।
তরুণ গায়ক নোবেল এবং তার লাখ লাখ অনুরাগীদের কাছে খুব যুক্তিযুক্ত অনুরোধ রেখেছেন আর এক গুণী মানুষ, গায়িকা লোপামুদ্রা মিত্র।
তিনি বলেন, নোবেল এর ফ্যান ক্লাবকে একটা কথাই বলতে চাই আর তা হলো, একটি রিয়েলিটি শো এর রেজাল্ট এর ওপর মানুষের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয় না। আমরা অরিজিৎ সিং এর গান শুনি। অরিজিৎ সিং ও একটি রিয়েলিটি শো থেকে বাদ পড়েছিল সেটা আমরা সকলেই জানি এবং আমি নিজের কথা বলতে পারি আমাদের এখানে স্টেট লেভেল এর একটি কম্পিটিশন হতো সেখানে আমিও চান্স পাইনি। একটি রিয়েলিটি শো মানুষের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত করে দেয় না। নোবেল এর আসল পরীক্ষা শুরু হচ্ছে এখন থেকে। তার চেষ্টা এবং তার গায়কি তাকে অনেকদূর নিয়ে যাবে- এটা আমার বিশ্বাস। আর নোবেলের ভক্তদের ওর সাথে থাকার জন্য অনুরোধ করেন বিশিষ্ট এই শিল্পী।
পশ্চিমবঙ্গে এই নোবেলময় আবহে বিশিষ্ট শিল্পী রূপঙ্কর বাগচী বললেন, আমি নিজেই ওর গানের একজন ভক্ত। অনেক দূর যাবে এই ছেলে।
কলেজছাত্রী গুঞ্জন দাস আবার এত কিছু বোঝে না। ২০বছরের মেয়ের একটাই কথা- নোবেল এর গান শোনার অপেক্ষায় থাকি । দুই দেশের এত সুন্দর বাংলা গান, বিভিন্ন ঘরানার গান শোনার জন্যে বসে থাকি প্রতিসপ্তাহে। সা রে গা মা পা’র চ্যাম্পিয়ন যে-ই হবে না কেন আমার কাছে নোবেল-ই জয়ী।
উল্লেখ্য, ২৯ জুন কলকাতার রাজারহাটের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় ‘সা রে গা মা পা’র গ্র্যান্ড ফিনালে।
টিভিতে এখনও অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হয়নি। বাংলাদেশের একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে নোবেল এই প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে পারেননি। প্রতিবেদনে আরো বলা হয় যে, এ দিন তাঁর পারফরমেন্স দেখে বিচারক থেকে দর্শক, প্রত্যেকে মুগ্ধ হয়েছেন।
তবে নোবেল যে জয়ী হতে পারেননি, সেটা অধিকাংশ মানুষের বিশ্বাস হচ্ছে না। জানা গেছে, নোবেল তৃতীয় হয়েছেন, যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন স্নিগ্ধজিৎ ও প্রীতম এবং প্রথম হয়েছেন অঙ্কিতা।
রিয়ালিটি শো’র ফলাফল নিয়ে আগেও অনেক তর্কবিতর্ক হয়েছে, তবে ‘সা রে গা মা পা’ র বিচারকদের মতামত নিয়ে এর আগে কখনও এত প্রশ্ন ওঠেনি। এই প্রথমবার! তবে কী সত্যিই নোবেলের সঙ্গে অবিচার হলো? অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হলে বিচারকাদের বিচার করবেন মানুষ। কারণ, তাদের কাছে, বিজয়ী একজনই, যাকে তারা মনে স্থান দিয়েছেন।
NB : This post is copied from kalerkantho.com
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা