নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর অদূরে একটি যাত্রীবাহি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিযে গভীর পাহাড়ি খাদে পড়ে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ১০৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরের দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে দুঘর্টনার খবরটি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভি।
খবরে জানা যায়, দুপুরের বাসটি অতিসিন্ধুপাল চক নামক এলাকা থেকে রাজধানী কাঠমান্ডুর দিকে যাচ্ছিল। বাসটিতে যেসব যাত্রী ছিলেন তারা সবাই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উৎসব দশাইন পালনের জন্য কাঠমাণ্ডুতে যাচ্ছিলেন।
অতিরিক্ত যাত্রিবোঝাই করার কারণে এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে এক বিবৃতি দিয়েছে নেপালের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, পাহাড়ি রাস্তায় মোড় নিতে গিয়ে বাসটি ৫০ মিটার নিচু একটি খাদে পড়ে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহত ১০৮ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ৩৯ জনকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
দুর্ঘটনার বিবৃতি দিয়ে কাঠমাণ্ডু জেলা কর্মকর্তা দেবী চেমজং এএফপিকে বলেন, ‘দুর্ঘটনাস্থলেই ৬ জন ও হাসপাতালে নেয়ার পথে ৫ জন মারা গেছেন। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে। আহতদের যত দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায় সেদিকে তৎপর রয়েছে সরকার।’
তিনি বলেন, কাঠমাণ্ডু অভিমূখে অধিকাংশ সড়কই পাহাড়বেষ্টিত। আর এসব সড়কগুলো খুবই বিপজ্জনক। এসব সড়কের অনেকগুলো অবস্থা বেহাল। তাই কোনো উৎসব চলার সময় দেশটিতে প্রতিনিয়তই এমন দুর্ঘটনা ঘটে। ওই সময় সড়কগুলো বেশি ব্যস্ত থাকে ও গণপরিবহনগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া হয়। তখনই দুর্ঘটনাগুলো বেশি ঘটে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা