“লবণের উপকারিতা”
লবণ রান্নার সুপরিচিত একটি উপাদান। খাবার পাতে হোক বা রান্নায় লবণ খাবারের স্বাদ বদলে দেয়। এটি বেশি খেলে যেমন অপকার ঠিক তেমনি এটি একদম না খেলেও ক্ষতি। লবণ খাওয়ার উপকার ও অপকার দুটিই রয়েছে। লিভার, কিডনি, হার্টের মতো শরীরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশের কার্যকালাপ লবণের উপর নির্ভর করে। তাই আজ এখানে লবণের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক লবণের ভালো দিক বা লবণের উপকারিতা-
– আপনি কি খুব মোটা ? আপনার ওজন হ্রাস করতে চান। তাহলে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে স্বাস্থ্যবান রাখতে লবন একটি শ্রেষ্ঠ উপাদান হতে পারে। ওজন অতিরিক্ত হলে রোগ ব্যাধি বেশি হওয়ার সম্ভবনা থাকে। ওজন হ্রাস করা লবণের উপকারিতার মধ্যে অন্যতম। – লবণ ব্লাড প্রেসার হাই করতে উপযোগী। তাই যাদের ব্লাড প্রেসার কম, তারা খাবার পাতে এক চিমটে লবণ খেতে পারেন। – সামুদ্রিক লবণ সিলিকন, ক্যালসিয়াম, কপার, নিকেল সমৃদ্ধ। সামুদ্রিক লবণে উপস্থিত এসব মিনারেল ও অন্যান্য উপাদান ব্লাডসেল রক্ষা করতে সাহায্য করে। – ব্লাড ভেসেল ও সেলগুলোকে লবণ কিছুটা সংকুচিত করে রাখে বলে শরীর গরম থাকে। এ কারণেই শীতকালে লবণ খাওয়া হয় বেশি। – ত্বকের মরা কোষ দূর করে ত্বককে কোমল ও মসৃণ করে তুলতে লবণের ভূমিকা অপরিহার্য। লবণ বডি স্ক্রাব হিসাবে খুব ভালো একটি উপাদান। ব্যবহারের প্রণালী: পরিমাণ মতো লবণ, অ্যালোভেরা জেল এবং নারকেল তেল এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে বডি স্ক্রাব বানিয়ে নিন। এবার ত্বকে স্নানের আগে ধীরে ধীরে মাসাজ করলে চামড়ার মরা কোষগুলি উঠে যাবে। – লবণ মুখের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া সঙ্গে লড়াই করতে পারে। নিয়মিত লবণ জলের গার্গল করলে মুখের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয় এবং মাড়ির ব্যথা , দাঁতের ব্যথা উপশম হয়। – লবণে রয়েছে সোডিয়াম যা মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। সোডিয়াম শরীরের জল প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে, যা স্নায়ুতন্ত্রকে সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। সোডিয়াম আমাদের দেহের গুরুত্বপূর্ণ ইলেক্ট্রোলাইট। শরীরে সোডিয়ামের অভাব থাকলে মানুষ ভুল বকতে থাকে। – খাবার হজম করতে সাধারণত হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড প্রয়োজন হয়। আর এই অ্যাসিড ক্লোরিন এবং হাইড্রোজেন উপাদানের সমন্বয়ে উৎপন্ন হয়। এই উপাদান দুটি লবণে উপস্থিত। – নার্ভ সেলের কার্যকলাপের জন্য লবণ খুবই দরকারি। – সর্দি কমানোর জন্য, সাইনাসের কনজেশন ভাব দূর করার জন্যও লবণ বেশ কাজ করে। – পেশীর ব্যথা প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও লবণ সমান জরুরি। – শুকনো কাশির সময় মুখে সামান্য লবণ রাখলে ঘন ঘন কাশির হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
বি. দ্র : কোন কিছুই মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া ভালো না। তাই লবণও পরিমাণ মতো খাওয়ার অভ্যাস করুন।
মো. আলী আশরাফ খান, লেখক, মহাব্যবস্থাপক (অবসরপ্রাপ্ত), বিসিক।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা