বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে এক প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আরো একবার বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটারদের গণহতাশা ও গণঅনাস্থার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
নির্বাচন কমিশন ও সরকার ভোটারদের মনে নিরাপদ পরিবেশে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ব্যাপারে কোন আস্থাবোধ জাগিয়ে তুলতে পারেনি। গত ক’দিন ধরে ভোট কেন্দ্রকে নিয়ন্ত্রণে রাখার পৌনপুনিক ঘোষণা ভোটারদের মধ্যে উৎসাহের পরিবর্তে বরং ভয় ও আশঙ্কা তৈরী করেছে। নির্বাচন কমিশন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, দায়িত্বপ্রাপ্ত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর পক্ষপাত দৃষ্ট ভূমিকা সরকারি দলের পেশীবাজদের উৎসাহ জুগিয়েছে, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ও বাহিরে সরকারি দলের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছে।
পাশাপাশি ভোটারদের বড় অংশের মনে এই ধারনা বদ্ধমুল হয়েছে যে, তারা ভোট কেন্দ্রে গেলে যা হবে, না গেলেও তাই হবে। এসব কারণে নির্বাচনী প্রচারনায় জনগণের যেটুকু উৎসাহ দেখা দিয়েছিল ভোট প্রদানে তার কোন প্রতিফলন দেখা যায়নি। তদুপরি ভোট প্রদানে ইভিএম ব্যবস্থা ভোটারদের বড় অংশের আস্থা ও উৎসাহ সৃষ্টি করতে পারেনি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই পরিস্থিতির দায়-দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন, সরকারি দল ও সরকারকেই বহন করতে হবে। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আগামীতে হয়তো পুলিশ পাঠিয়েও ভোটারদেরকে ভোট কেন্দ্রে হাজির করানো যাবে না।
তিনি উল্লেখ করেন, আজকের অভিজ্ঞতাও প্রমান করেছে যে, ইভিএম ব্যবস্থায় ভোটের জন্য বাংলাদেশ ও তার ভোটারেরা এখনও প্রস্তুত নয়। তিনি বলেন, বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যবস্থার খোল-নলচে পাল্টিয়ে নির্বাচনের সত্যিকারের গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা ছাড়া নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনা যাবে না। তিনি অনতিবিলম্বে আরেকটি ব্যর্থ নির্বাচনের দায়-দায়িত্ব নিয়ে বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা