অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রখ্যাত পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক বলেন, “এই পাখিটিকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘ব্লাকবেকড ফর্কটেইল’ (Black-backed Forktail)। দুইভাগে ভাগ হলে গেলে সেটাকে বলে ‘ফর্ক’ (Fork)। দুটো লম্বা লেজ কিন্তু দুইভাগে ভাগ হাওয়া। এমন ভাবে লেজটি ভাগ হয়েছে মনে হয় যেন দুটো লেজ। পিঠ থেকেই দুই দিকে দুইভাবে ভাগ হয়েছে লেজটি। এজন্যই এর নাম ফর্কটেইল অর্থাৎ চেরালেজ। বাংলায় এর নাম ‘কালাপিঠ-চেরালেজ’। বৈজ্ঞানিক নাম Enicurus immaculatus।”
“এ পাখিটা একমাত্র সিলেটেই আছে। বলা যেতে পারে সিলেট থেকে চট্টগ্রাম। যেখানে পাহাড়ি জঙ্গল আছে সেখানেই তার বসবাস এবং সে শুধু পানিতেই থাকে। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো পাহাড়ি ঝর্ণা ছাড়া কোথাও খুঁজে পাবেন না তাকে। একমাত্র পাহাড়ি ঝর্ণা যেটা গাছপালাআবৃত প্রকাশ্য আলোতে সে কখনো থাকবে না। গাছাপালায় ঢাকা একেবারে টানেলের মতো ওখানে যে কোনো পাহাড়ি ছড়ায় ঢুকে দেখেন, যখন ঝরঝর করে পানি পাত্রর উপর দিয়ে পড়ে যাচ্ছে আর উপরে দুই পাশ দিয়ে গাছ এসে ঢেকে আছে এরকম জায়গাতেই কেবল ওকে পাবেন। আর কোথাও সে থাকে না। এই একটা মজার পাখি যেটা সবসময়ই সাদা কালো। কালো মানে আমাদের জাতীয় পাখি দোয়েলের মতো নীলচে-কালো। শরীরের অর্ধেকটা সাদা। ডোরাকাটা।”
পাখিটি প্রজাতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমাদের বাংলাদেশে শুধুমাত্র পূর্বদিকে যেখানে আমাদের পাহাড়ি অঞ্চল অর্থাৎ সিলেট ডিভিসন এবং চিটাগাং ডিভিসন এই দুই জায়গায় ছাড়া আরো কোথাও নেই। আমাদের দেশে এই ১টি প্রজাতির রয়েছে। তবে আরো ১টি প্রজাতি দেখা গেছে দু-একবার। গত পাচ বছরে আমি দু-একবার দেখা প্রজাতিকে একবারও দেখি নাই। সুতরাং এই একটি মাত্র প্রজাতি আছে; যার নাম কালাপিঠ-চেরালেজ।”
“এটি অত্যন্ত নিরিহ-পাখি। এর দৈর্ঘ্য ২৫ সেন্টিমিটার এবং ওজন ৯ গ্রাম। এরা কিছুটা অন্ধকারের মধ্যেই থাকে। সুন্দর স্বরে মাঝে মাঝে ডাকে। ওই পাহাড়ি ঝর্ণা থেকে সে কোনো দিনও বাহিরে আসবে না। কিন্তু লম্বা লেজের বেশ বড় পাখি সে। অনেকখানি বড় পাখি। আমাদের দোয়েল সাথে এর কিছুটা মিল আছে। এরা একই পরিবারের পাখি কিন্তু। পাখিটি দোয়েলের ঘনিষ্ট আত্মীয় বলে জানান প্রখ্যাত পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা