অনলাইন ডেস্ক
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে তাসকিন আহমেদের করা লেন্থ বল এগিয়ে এসে কাভারের উপর দিয়ে উড়িয়ে আছড়ে ফেললেন বাউন্ডারির বাইরে। দৃষ্টিনন্দন এক শট। বলা যায় তামিমীয় ট্রেডমার্ক শট। দীর্ঘদিন ধরে এমন শট খেলতে দেখা যায়নি তাকে। যেন খোলস ছাড়িয়ে বেরিয়ে আসার আভাস। এমন আভাসই দিলেন যে, শূন্যতে জীবন পেয়ে তামিম হাঁকালেন সেঞ্চুরি।
তামিমের ব্যাট যেন হয়ে ওঠে ক্ষুরধার তরবারি। যেভাবেই বল আসুক না কেন, চার কিংবা ছয়। শূন্যতে জীবন পাওয়ার পর ২৮ বলে দেখা পান ফিফটির। ৭১ রানে পরপর দুই জীবন। এত সুযোগ পেয়ে কি সেঞ্চুরি হাতছাড়া করা যায়? তামিমও করেননি। ফিফটির পর সেঞ্চুরি করতে লাগে আরও ৩৩ বল। চারের মার ছিল ১৬টি আর ছয় ৩টি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৬৪ বলে ১১১ রান করে। তামিমের সেঞ্চুরির সঙ্গে মোহাম্মদ শাহজাদের ফিফটিতে সিলেট সানরাইজার্সকে ৩ ওভার বাকি থাকতেই ৯ উইকেটে উড়িয়ে দেয় ঢাকা।
এর আগের ইনিংসে লেন্ডল সিমন্সের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেটে ১৭৫ রান করেছিল সিলেট। সিমন্সের সেঞ্চুরিটি ছিল বিপিএলের চলতি আসরে প্রথম। রান তাড়া করতে নেমে তামিমের সেঞ্চুরিতে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয় ঢাকা। যেন সিমন্সের জবাবে তামিমের সেঞ্চুরি। এর আগে এক ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি হয়েছিল ২০১৯ সালে, রংপুর রাইডার্সের হয়ে অ্যালেক্স হেলস ও রিলে রুশো।
তামিম-শাহজাদের জুটি থামে ১৭৩ রানে, জয় থেকে ঢাকা যখন মাত্র ৩ রান দূরে। বিপিএলের ওপেনিং জুটিতে এটি দ্বিতীয় জুটি। যে কোনো উইকেটে পঞ্চম সর্বোচ্চ জুটি।
তামিমের সেঞ্চুরিসহ এখন পর্যন্ত বিপিএলের অষ্টম আসরে ২৩টি সেঞ্চুরি হয়েছে। ২৩টি সেঞ্চুরির মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচটি আসে আরেক ক্যারিবীয়ান তারকা ক্রিস গেইলের ব্যাট থেকে। বিপিএলের সবশেষ ১১ সেঞ্চুরির মধ্যে ৮টিই হয়েছে চট্টগ্রামে। সবমিলিয়ে ৯টি।
২৩টি সেঞ্চুরির মধ্যে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা হাঁকিয়েছেন ৬টি। একমাত্র তামিম দুটি, আর একটি করে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন শাহরিয়ার নাফিস, মোহাম্মদ আশরাফুল, সাব্বির রহমান ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তামিমের বাকি দুটি সেঞ্চুরির একটি এসেছে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ওমানের বিপক্ষে আরেকটি বিসিবি আয়োজিত ২০১৩ সালে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা