অনলাইন ডেস্ক
ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই জনপ্রিয় লিড ভোকাল বলেন, ইনশাআল্লাহ নিজের মুখে যত গান গেয়েছি, রেকর্ড করেছি, নিজের লিখা, সুরকরা বা অন্যের লিখা সুর করা, সব গানই লাইভে গাইবো। ভদ্রতাকে দুর্বলতা ভাবার কোনো অবকাশ নেই। পোস্টটির কমেন্টে তুহিন আরও বলেন, আভাসে আমি খুব সুখী ও স্বচ্ছন্দে আছি। হয়তো আমার ব্যান্ডমেটরা ওদের (শিরোনামহীন) মতো প্রতিভাবান নয়। কিন্তু এ মানুষগুলো আমাকে বোঝে। তারা অসুস্থতায় মৃত্যু খুঁজবে না, ধান্দা করবে না, আমার সফলতার চেষ্টাকে ব্যান্ড সফলতা হিসেবে বিশ্বাস করে।
২০১৭ সালে রক ব্যান্ড শিরোনামহীনের সাবেক ভোকাল তানজির তুহিন ব্যান্ডটির সাথে অন্তর্দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। সে বছরই ৭ অক্টোবর ব্যান্ড ত্যাগের ঘোষণা দেন। একই বছর ১৬ ডিসেম্বর ‘আভাস’ ব্যান্ড গড়েন তিনি।
শিরোনামহীন ত্যাগের পর তানজির তুহিন আভাস ব্যান্ডের হয়ে শিরোনামহীনের গানগুলি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরিবেশন করতে থাকেন। এতে শুরু হয় বিতর্ক। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের ভাষ্য অনুযায়ী, গানগুলির গীতিকার এবং সুরকার সূত্রে আইনগত সত্ত্বাধিকারী শিরোনামহীনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জিয়াউর রহমান। গানগুলি পরিবেশনের আইনত বাধ্যবাধকতা থাকলেও সে বছরের আগস্টে কপিরাইট অফিসের রায় অগ্রাহ্য করে তুহিন পরিবেশনা অব্যাহত রাখলে শিরোনামহীন আদালতে অভিযোগ জানায়। ফলে আদালত তুহিন ও তার ব্যান্ড আভাসকে শিরোনামহীনের গান পরিবেশনে আইনগত নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আভাস ব্যান্ড আপিল করলে, ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর শিরোনামহীন ব্যান্ডের ৪৯টি গানের বিষয়ে আদালতের দেয়া নিষেধাজ্ঞার আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে উচ্চ আদালত। পরবর্তীতে উক্ত আইনের প্রেক্ষিতে শিরোনামহীন ব্যান্ড দল পুনরায় উচ্চ আদালতে আপিল জানালে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি শিরোনামহীন নিজেদের পক্ষে মামলায় জয়লাভ করে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা