অনলাইন ডেস্ক
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নিওকভ নতুন কোনও ভাইরাস নয়। ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে পূর্ব এশিয়ার কিছু কিছু দেশে এই ভাইরাসটির সংক্রমণ দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়েছিল। এর ফলে মিডল ইস্ট রেসপাইরেটরি সিনড্রম বা মার্সের প্রাদুর্ভাস দেখা দেয়। বলা হচ্ছে, এই মার্স-কোভ ও নিউকোভের মধ্যে গঠনগত মিল রয়েছে।
বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী বায়োরিক্সিভে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল, এটি মানুষের ক্ষেত্রে তেমন বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে না। এটি শুধুমাত্র অন্য প্রাণীদের ক্ষেত্রেই সংক্রমণ ঘটাতে পারে। কিন্তু পরে দেখা গিয়েছে, এটি নিজেকে বদলে মানুষের শরীরে সংক্রমণ ঘটানোর মতো গঠন তৈরি করে নিচ্ছে।
অন্য একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ভাইরাসটি যে অভিমুখে মিউটেশন হচ্ছে, তাতে আর একটি মাত্র মিউটেশন হলেই এটি মানুষের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
অবশ্য মহারাষ্ট্রের কোভিড-১৯ টাস্ক ফোর্সের সদস্য চিকিৎসক শশাঙ্ক জোশি দাবি করেছেন, এই নিওকভ নিয়ে ভয়ের কিছুই নেই। এই নিওকভ শুধুমাত্র বাদুড়ের এসিই২ রিসিপটর ব্যবহার করতে পারে। এটি মানুষের এসিই২ রিসিপটর ব্যবহার করতে পারে না। তাই এটি নিয়ে ভয়ের কিছু নেই।
এসবের পরেও তিনি লিখেছেন, মিউটেশনের মাধ্য়মে মানুষের এসিই২ রিসিপটর ব্যবহার করার ক্ষমতা পেতে পারে এই ভাইরাসটি। তেমন আশঙ্কাও রয়েছে। তাই এখনই এই ভাইরাস বড় বিপদ ডেকে না আনলেও, ভবিষ্যতে যে তার আশঙ্কা নেই এমন কথা বলা যাচ্ছে না।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা