অনলাইন ডেস্ক
এছাড়া সংঘর্ষে নিহত নাহিদের বাবা মো. নাদিম হোসেন বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করেন। নিউমার্কেটের অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিনশত ব্যবসায়ী ও কর্মচারি এবং ঢাকা কলেজের ছয় থেকে সাতশত ছাত্রকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। তিন মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনকে। মামলায় নাম উল্লেখ করা ২৪ জন হলেন- অ্যাডভোকেট মকবুল, আমির হোসেন আলমগীর, মিজান, টিপু, হাজি জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, হাসান জাহাঙ্গীর মিঠু, হারুন হাওলাদার, শাহ আলম শন্টু, শহিদুল ইসলাম শহিদ, জাপানি ফারুক, মিজান বেপারী, আসিফ, রহমত, সুমন, জসিম, বিল্লাল, হারুন, তোহা, মনির, বাচ্চু, জুলহাস, মিঠু, মিন্টু ও বাবুল।
মামলার এজাহারে পুলিশ বলে, গত ১৮ এপ্রিল রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাঙচুর থামানোর চেষ্টা করি। পরে শিক্ষার্থীরা নিউমার্কেটের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে। শিক্ষার্থীদের বাধা দিলে তারা নিউমার্কেট থেকে ঢাকা কলেজের দিকে চলে যায় এবং কলেজের গেটের সামনে বাঁশের লাঠি, লোহার রড, দা, হকিস্টিকসহ অবস্থান নেন।
এজাহারে বলা হয়, উল্লেখিত আসামিরা রাত ২টা ৩৫ মিনিটের দিকে নিউমার্কেট থেকে ঢাকা কলেজের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। তাদের থামাতে গেলে ইট পাটকেলের আঘাতে এডিসি (রমনা), এসি (নিউমার্কেট জোন), ওসি (নিউমার্কেট), এসআই ও ছবির উদ্দিন শিকদারসহ ১০ থেকে ১৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অ্যাডভোকেট মকবুলসহ অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ আসামি লাঠি, রড ও হকিস্টিক নিয়ে হামলা চালান। মামলার প্রধান আসামি অ্যাডভোকেট মকবুল বলেন, আমি নিউমার্কেট এলাকায় ৪ মাস ধরে যাইনা। এই ঘটনায় রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। নিউ মার্কেটের যে দুটি খাবারের দোকান থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় তা নিজের মালিকানাধীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিউ মার্কেটের খাবারের দোকান ওয়েলকাম ফাস্টফুড চালান আমার ছোট ভাই এবং ক্যাপিটালের ফাস্টফুডের মালিক আমার চাচাতো ভাই শহীদুল ইসলাম। তাকেও এই মামলার আসামি করা হয়েছে। ঘটনাটি মূলত কর্মচারিদের মধ্যে সংঘটিত হয়েছে। এখানে রাজনৈতিকভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে।
মামলায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ থাকলেও তাদের কোনো ঠিকানা বা পরিচয় নথিতে নেই। এ বিষয়ে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ ম কাইয়ুম বলেন, তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের (২৪ আসামির) পরিচয় প্রকাশ করা হবে না। আসামিদের গ্রেপ্তারে থানা পুলিশসহ গোয়েন্দা পুলিশও কাজ করছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবার রাত ১২টায় নিউমার্কেট ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়ান। পরদিন মঙ্গলবারও দিনভর দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এদিন রাতে দুপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে আহত নাহিদ (১৮) নামে এক তরুণ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সংঘর্ষে আহত দোকানী মোরসালিন (২৬)।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা