অনলাইন ডেস্ক
ভারতের ধর্মশালা থেকে চেন্নাইয়ের দুরত্ব প্রায় ২ হাজার ৭’শ কিলোমিটার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে এতটা পথ পেরিয়ে উত্তর থেকে ভারতের দক্ষিণ প্রান্তে এসেও বাংলাদেশ নিজেদের ভাগ্য বদলাতে পারেনি। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে নিজেদের তৃতীয় খেলাতে পারেনি কাঙ্খিত জয়ের পথে হাঁটতে।
এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ বদলালেও পরাজয়ের চিত্রনাট্য বদল হয়নি বাংলাদেশের। ব্যাটিং উইকেটে সুন্দর শুরুর প্রত্যাশা সবাই যেখানে চেয়েছিলো, সেখানে বাংলাদেশ শুরুই করে হতাশা দিয়ে। আর এই হতাশা শুরু হয় লিটনের হাত ধরে। নিজের জন্মদিনটা ম্লান করে ইনিংসের প্রথম বলেই অপ্রয়োজনীয় শট খেলে দলকে বিপদে ফেলে আসেন লিটন।
বিশ্বকাপের মত বড় মঞ্চে দলের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে দলের অবস্থা আরো খারাপ করে দিচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তরুণ তানজীদ তামিম যেনো বিশ্বকাপে দলের বোঝা হয়ে গেছে। টানা তিন খেলাতেই পারেননি ব্যর্থতার বলয় থেকে বেরুতে। মেহেদী মিরাজ ও নাজমুল শান্তও দ্রুত বিদায় নিলে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ দল। ৯৬ রানের জুটি গড়ে দলের চাপ সামাল দেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। অপ্রয়োজনীয় শট খেলে সাকিব আউট হলে বড় রান করার পথে বাধা পায় বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম টানা দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। তিনি আউট হন ৬৬ রানে। শেষ দিকে আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪১ রান করে বাংলাদেশকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন। তাতে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ২৪৫ রান।
বিশ্বকাপ মঞ্চে সাফল্য পেতে হলে, এই রানেও প্রতিপক্ষকে আটকানোর মত বোলিং রশদ থাকা দরকার। বাংলাদেশের বোলাররা পারেননি নিজেদের সামর্থ্যরে প্রমাণ দিতে। ছন্দহীন বোলিংয়ের পাশাপাশি চলতে থাকে বাজে ফিল্ডিংও। তাতে ইনজুরি কাটিয়ে প্রায় সাড়ে সাত মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে নামা কিউই অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন উইকেটের চারপাশেই রানের চাকা সচল রাখেন। উইলিয়ামসন ও ড্যারিল মিচেলের জোড়া অর্ধশতকে বাংলাদেশকে হতাশায় পুড়িয়ে সহজ জয় নিয়ে নিউজিল্যান্ড মাঠ ছাড়ে। তাতে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে কিউইদের বিপক্ষে ৬টি ম্যাচ খেলে সবক’টিতেই পরাজয় সঙ্গী হয় বাংলাদেশের।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা