সারাদেশেই আমরা নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কাজ করছি। কাজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের বাধা রয়েছে যা আমাদের অতিক্রম করতে হবে। সিডও সনদ, প্রচলিত আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ তিন স্তরের কাজ শুরু করেছে।
নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতন প্রতিরোধে বহুমাত্রিক কার্যক্রম বিষয়ে জেলা শাখার নেতৃবৃন্দের প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনীতে একথা বলেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহ-সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম।
তিনি তত্ত্বগত জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি তা প্রয়োগে কাজ করতে বলেন। তত্ত্বগত বিষয়গুলোর জ্ঞান এলাকায় গিয়ে কাজে লাগাতে বলেন। তিনি লিগ্যাল এইডের কার্যক্রমে তরুণদের সম্পৃক্ত করার উপর গুরুত্বরোপ এবং কাজের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানান।
১৮-১৯ অক্টোবর ২০১৯ ইং তারিখ বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের উদ্যোগে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আনোয়ারা বেগম, মুনিরা খান মিলনায়তনে “নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি’’- শ্লোগানকে সামনে রেখে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংগঠনের সহ-সভাপতি রেখা চৌধুরী বলেন, ৮০’র দশক থেকে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারী নির্যাতন প্রতিরোধের কাজ করছে। ইতিমধ্যে অনেক আইনের সংস্কারসহ নতুন আইন প্রণীত হয়েছে। আমাদের আইনের বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের কারণে কাজের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ থাকলেও তা অতিক্রম করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধের কাজ একটি ধারাবাহিক কাজ। সকল জেলা শাখা নারী নির্যাতন প্রতিরোধের কাজ ধারাবাহিকভাবে করে চলেছে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধের কাজ তথা যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের ঘটনা প্রতিরোধ, ধর্ষণের ঘটনা প্রতিরোধ, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের কাজের উপর জোর দেওয়া সহ আন্দোলনমুখী কাজের উপর জোর দিতে হবে।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধে বিভিন্ন আইন এবং বিষয়াবলী নিয়ে প্রশিক্ষণে আলোচনা হয়েছে। এতে ৭৬ জন সংগঠক অংশ নেন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা