বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেছেন, বর্তমান বিশ্ব নারী আন্দোলনের একটি ক্ষুদ্র অংশ আমরা। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের একটি নিজস্ব ধারা আছে। এই সংগঠনই বাংলাদেশের একমাত্র অরাজনৈতিক সংগঠন যা নারীর অধিকার আদায় ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর)ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সংগঠন উপ পরিষদের উদ্যোগে র্কমী সম্মেলনের উদ্বোধনীতে তিনি একথা বলেন। ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, মহিলা পরিষদের কর্মী সংগঠকরা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাজ করে। এই সংগঠন সকল স্তরের নারীর দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের কাজ করি।
‘সংগঠকের গুণগত মান বৃদ্ধি করি, সংগঠনের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করি’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে সংগঠকদের মধ্যে সমন্বয়সাধন এবং সংগঠনকে শক্তিশালী ও সংহতকরণে এবং নতুন নেতৃত্ব তৈরীর লক্ষ্যে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, নারী আন্দোলনের জাতীয় এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট রয়েছে। এটির গতিপথ সামগ্রিক বৈশ্বিক পরিস্থিতি অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে নারী আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হয়েছে।
তিনি বলেন, নারী আন্দোলনের অনেক সাফল্য আছে সেটির ফল আমরা গ্রহণ করতে পারছি কিনা তা আমাদের দেখতে হবে। এই আন্দোলন এগিয়ে নেয়ার পথে গণতন্ত্রের সংকট, ধর্মান্ধতা, জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ ইত্যাদি প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এই সকল প্রতিবন্ধকতা এবং চ্যালেঞ্জ দূর করতে আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে।
সভায় কর্মী সম্মেলনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেহানা ইউনুস বলেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সমস্ত অবক্ষয় দূর করে একটি যুক্তিবাদী, মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের জন্য যে কাজ করে যাচ্ছে তার সাথে তরুণ প্রজন্মকে যুক্ত করতে এবং তাদের পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে আজকের এই কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
সভায় বিভিন্ন জেলা শাখা থেকে আগত প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ৫টি গ্রুপে দলীয় কাজ অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় কাজে নারীর সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য নারী আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা, সংগঠন পরিচালনায় এবং জেলায় শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তোলার জন্য সংগঠকের দায়বদ্ধতা, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার প্রয়োজন এবং তরুনীদের সংগঠনে যুক্ত করতে কার্যকরী কর্মসূচি গ্রহণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
সভার শুরুতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও গণমাধ্যম সম্পাদক দিল মনোয়ারা মনুর মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয় এবং তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সভায় সংগঠন শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে কর্মী সংগঠকদের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাখী দাশ পুরকায়স্থ। নারী আন্দোলন ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সম্পর্কে আলোচনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র সম্পর্কে আলোচনা করেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম। তরুণীদের সংগঠনে অন্তর্ভূক্তকরণ সম্পর্কে আলোচনা করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের রংপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রুম্মানা জামান তপা।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা