রোকেয়া দিবস বক্তারা
বিবেকের কষাঘাতে নারীমুক্তির যে আকুতি রোকেয়া তাঁর সাহিত্যকর্ম ও জীবনসংগ্রামের মধ্যে রেখে গেছেন, সেখানে তিনি অনন্য ও বিশিষ্ট।
সোমবার ( ৯ ডিসেম্বর) নারীমুক্তি আন্দোলনের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়ার ১৩৯তম জন্ম ও ৮৭তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলিজ্ঞাপন শেষে আলোচনায় সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের নেতৃবৃন্দ একথা বলেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নারীশিক্ষা বিস্তারে বেগম রোকেয়ার ভূমিকার তুলনা হয়তো পাওয়া যাবে। কিন্তু মানুষের দুঃখ, বিশেষ করে অবহেলিত নারীসমাজের অবর্ণনীয় দুর্গতির বাস্তব চিত্র উপস্থিত করে শ্লেষ, বিদ্রুপ, কৌতুকরস, বৈজ্ঞানিক যুক্তিবাদ, ঐতিহাসিক নজির ও উন্নত জীবনের স্বপ্ন তুলে ধরে, উঁচু স্তরের রুচি ও মূল্যবোধের আবেদন দিয়ে তিনি লিখে গেছেন।
সকাল ১০.৩০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেগম রোকেয়ার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, র্যালি ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম এর কেন্দ্রীয় সভাপতি রওশন আরা রুশোর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শম্পা বসু, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি আল কাদেরী জয়, ঢাকা নগর শাখার সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ।
সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, সাম্প্রতিক নারী নির্যাতন ও বৈষম্যের ক্রমবর্ধমান চিত্র পরিষ্কারভাবে আমাদের দেখিয়ে দেয় রোকেয়ার জীবন সংগ্রাম এবং চিন্তা, শিক্ষা ও সাহিত্যকর্ম থেকে আমরা কত দূরত্বে অবস্থান করছি। পথে-ঘাটে, কর্মস্থলে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, ঘরে-বাইরে সর্বত্র নারীর উপর সহিংসতা, লাঞ্ছনা, অপমানের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। তারা বলেন, সমকাজে সমমজুরি না পাওয়া, যৌতুক, বাল্যবিবাহের বলি হওয়া, সম্পত্তির উত্তরাধিকারে সমঅধিকার না পাওয়া, সিনেমা-নাটক-বিজ্ঞাপনে নারীকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করা এসবই স্বাধীন দেশে রোকেয়ার মৃত্যুর ৮৭ বছর পরেও আপামর নারীদের জীবন চিত্র।
সমাবেশ থেকে নারীর প্রতি সকল ধরনের বৈষম্য ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে নারী-পুরুষ ঐক্যবদ্ধ লড়াই গড়ে তোলার আহ্বান জানান হয়।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা