অনলাইন ডেস্ক
এই ক্যারিবীয়ানের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বোলিং। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স পেয়ে যায় জয়ের ভিত। এই ভিতে দাঁড়িয়ে দারুণভাবে ফিনিশিং দেন ডু প্লেসি-মঈন আলী। তৃতীয়বারের মতো কুমিল্লা চলে যায় বিপিএলের ফাইনালে। তারুণ্যে গড়া চট্টগ্রামকে বিদায় নিতে হয় ট্রফি থেকে এক ম্যাচ দূরে থেকে।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে (১৬ ফেব্রুয়ারি) বুধবার টস জিতে আগে ব্যাটিং করে ১৪৮ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম। রান তাড়া করতে নেমে ৪৩ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কুমিল্লা। ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টায় ট্রফির লড়াইয়ে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
লিটনের আউটের বলটি ছাড়া চট্টগ্রামের কোনো পাওয়া ছিল না দ্বিতীয় ইনিংসে। এই ওভারেই শুরু হয় নারিনের তাণ্ডব। শেষ তিন বলে টানা ১ ছয় ও দুই চার হাঁকিয়ে শুরু। পেস বদলে স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে আসেন অধিনায়ক আফিফ। নারিন যেন আরও ক্ষেপলেন। ৩ ছয় ১ চারে নিলেন ২৩ রান! আফিফের করা তৃতীয় ওভারে ইমরুল কায়েস নেন মাত্র ৫ রান। এরপরেই আবার শুরু হয় নারিন ঝড়। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের প্রথম বলে লং অনে ৬ হাঁকিয়ে মাত্র ১৩ বলেই দেখা পান ফিফটির! যা বিপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম।
এর আগে আহমেদ শেহজাদ ১৬ বলে হাঁকিয়েছিলেন ২০১৬ সালে। এই ওভারেই নারিন ফেরেন ১৬ বলে ৫৭ রান করে। তার ইনিংসে ৬টি ছয় ও ৫টি চারের মার ছিল। রেকর্ডময় ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরষ্কার পান নারিন। পাওয়ার প্লে থেকে কুমিল্লা তোলে ২ উইকেটে ৮৪ রান।
নারিনের পর ইমরুল কায়েসও ফেরেন ২৪ বলে ২২ রানে। এরপর ২৭ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ শেষ করে আসেন ডু প্লেসি-মঈন। ডু প্লেসি ২৩ বলে ৩০ ও মঈন ১৩ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। চট্টগ্রামের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও বেনি হাওয়েল।
এর আগে ব্যাটিং ধস সামলে মেহেদি হাসান মিরাজ ও আকবর আলীর ব্যাটে চড়ে কুমিল্লাকে ১৪৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল চট্টগ্রাম। দলটি ১৯.১ ওভারে ১৪৮ রানে সবকটি উইকেট হারায়।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ক্রিজে এসে ১৯তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন মিরাজ। তার ব্যাট থেকে ৩৮ বলে সর্বোচ্চ ৪৪ রানে আসে। ৩ চার ও ২ ছয়ে এই রান করেন তিনি। এ ছাড়া আকবর করেন মাত্র ২০ বলে ৩৩ রান। ৫০ রানের ৫ উইকেট হারানোর পর দুজনের প্রতিরোধে লড়াকু সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। দুজনের জুটি থেকে আসে ৪০ বলে ৬১ রান। এ ছাড়া জাকির হাসান ২০, উইল জ্যাকস ১৬ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী শেষে দিকে ১৫ রান করেন।
কুমিল্লার হয়ে ৩ উইকেট করে নেন শহিদুল ইসলাম ও মঈন আলী।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা