নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন
নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় দায়ের করা ৬০ পিটিশনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিশ পাঠাল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারকে। তবে এই আইনের উপর স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ জানুয়ারি।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রায় ৬০টি আবেদন বুধবার ওঠে সুপ্রিম কোর্টে। যাঁরা পিটিশন দাখিল করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছে শীর্ষ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ ও আসামে শাসক বিজেপির শরিক দল আসাম গণ পরিষদ।
প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চে মামলাগুলির শুনানি হয়। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি বিআর গাভাই ও বিচারপতি সূর্য কান্ত।
পিটিশনগুলিতে বলা হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী নাগরিকত্বে অনুমোদন পাওয়ার ভিত্তি কখনওই ধর্ম হতে পারে না।
আবেদনকারীদের দাবি, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সংবিধানের মূল ভিত্তির বিরোধী কারণ এই নয়া আইনে বেআইনি শরণার্থীদেরও ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিক হিসেবে মেনে নেওয়া হচ্ছে। এতে লঙ্ঘন করা হচ্ছে সংবিধানের মৌলিক অধিকার।
বুধবার সকালে সংক্ষিপ্ত শুনানিতে শীর্ষ আদালত পিটিশনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের কাছে জবাব তলব করে। তবে আইন কার্যকরে স্থগিতাদেশের আর্জি মানতে রাজি হয়নি শীর্ষ আদালত।
পিটিশনারদের পক্ষের আইনজীবী রাজীব ধাওয়ানের আর্জি ছিল, আইন এখনও বাস্তব রূপ পায়নি। নিয়মকানুনও এখনও জারি হয়নি।
কাজেই আপাতত এই আইন স্থগিত করা হোক। তবে তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করে অ্যাটর্নি জেনারেল বেণুগোপাল বলেন, আইনে এ ভাবে স্থগিতাদেশ দেওয়া যায় না। এমন দৃষ্টান্ত সুপ্রিম কোর্টের চার বিচারের ক্ষেত্রে রয়েছে। ইন্ডিয়া টাইমস।
Like & Share our Facebook Page: Facebook
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা