অনলাইন ডেস্ক
দণ্ডপ্রাপ্ত নারীর নাম হনুফা বেগম (৪৩)। তিনি কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মিজিয়া পাড়ার বাসিন্দা হলেও ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর আশ্রায়ন প্রকল্পের ৩ নং ব্যারাকে বসবাস করতেন।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর আশ্রায়ন প্রকল্পের পাশে একটি নবজাতক ছেলে শিশুর লাশ মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে মর্মে তৎকালীন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফেনী থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে মর্গে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্দা স্বামী পরিত্যক্তা নারী হনুফা বেগমের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় (ডিএনএ টেষ্ট) নবজাতকটি তার বলেই প্রতীয়মান হয়। অবৈধ মেলামেলায় গর্ভধারণ ও লোকলজ্জার ভয়ে তিনি নবজাতকটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশটি ওই স্থানে মাটি চাপা দেন।
এ ঘটনায় ২০০৮ সালের ৩ মার্চ ফেনী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর উদ্দিন বাদী হয়ে ফেনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ফেনী মডেল থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাশেদ খান চৌধুরী তদন্ত শেষে আসামি হনুফা বেগমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোপত্র দায়ের করেন। আদালতে সাত জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের ব্যাঞ্চ সহকারী রাজেন্দ্র কুমার ভৌমিক নবজতক হত্যার দায়ে এক নারীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা-অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষণার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আসামি হনুফা বেগম জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। তিনি যখন গ্রেপ্তার হবেন তখন থেকে এ সাজা কার্যকর হবে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা