সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি এবং নবজাতকের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জাতীয় কারিগরি কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন, ‘নবজাতকের প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যর অবসান ঘটানো এবং মৃত্যুহার কমানোর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের অবশ্যই বর্তমানে অনুসৃত কৌশল ও কার্যক্রমগুলি সংশোধন করতে হবে, এবং আজকের এই অনুষ্ঠানে আলোচিত নবজাতকের সিগন্যাল ফাংশনগুলো অবশ্যই এক্ষেত্রে সহায়ক হবে।’
রবিবার (৮ মার্চ) বাংলাদেশে নবজাতকের সিগন্যাল ফাংশনগুলো সনাক্তকরণের পদ্ধতি ও প্রাপ্ত ফলাফলসমূহ জানানো বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
আইসিডিডিআর,বিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় নবজাতকের সিগন্যাল ফাংশন হলো নবজাতকের অসুস্থতা বা মৃত্যুহার কমানোর উদ্দেশ্যে যেসব গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়া হয় তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা এবং এটির সাহায্যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সেবার মান নির্ণয় করা যায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
এতে বলা হয়েছে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি ২০৩০) অনুযায়ী, নবজাতকের প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর অবসান ঘটানো এবং মৃত্যুর হার প্রতি ১,০০০-এ ১২ বা তার নিচে নামানোর আশা করা হয়। এই উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিস্তৃত প্রমাণভিত্তিক ইন্টারভেনশনের প্রয়োজন। এই উচ্চ-প্রভাবশালী ইন্টারভেনশনগুলোর অধিকাংশই প্রতিষ্ঠানভিত্তিক, এই ইন্টারভেনশনগুলো মানসম্মতভাবে প্রদানের জন্য প্রতিষ্ঠানের প্রস্তুতি এবং যথাযথ সেবার প্রাপ্যতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নবজাতকের সেবা প্রদানকারী প্রোগ্রাম পরিকল্পনা ও মনিটরিং এর জন্য প্রতিষ্ঠানের প্রস্তুতি মূল্যায়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে এ-সম্পর্কিত কোনো নির্ধারিত মানদণ্ড নেই।
সভায় বলা হয়, আইসিডিডিআর,বি, ন্যাশনাল নিউবর্ন হেলথ প্রোগ্রাম, স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তর এবং অন্যান্য সংস্থার অংশীদারিত্বে কিছু মান নির্ধারণ (যেমন সিগন্যাল ফাংশন) করার জন্য একটি গবেষণা সম্পাদন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের প্রস্তুতি এবং যথাযথ সেবাপ্রদান মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে।
ডাঃ মোঃ শামসুল হক এলডি স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। ডাঃ জহুরুল ইসলাম, ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার, নিউবর্ন হেলথ, এনএনএইচপি অ্যান্ড আইএমসিআই, নিউবর্ন সিগন্যাল ফাংশনগুলি সনাক্ত করার পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা করেন। এই গবেষণার প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ডাঃ আহমেদ এহসানুর রহমান, অ্যাসোসিয়েট সায়েন্টিস্ট বলেন, “মোট ২০টি সিগন্যাল ফাংশন চিহ্নিত করা হয়েছে, যার মধ্যে ৯টি প্রাথমিক, ১৩টি মৌলিক, ১৮টি বিস্তৃত (পড়সঢ়ৎবযবহংরাব) এবং ২০টি উন্নত”।
এই গবেষণার প্রভাব সম্পর্কিত আলোচনায়, ডাঃ মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর, ডিজিএইচএস অ্যান্ড পিএম, এনএনএইচপি অ্যান্ড আইএমসিআই বলেন, সিগন্যাল ফাংশনগুলি ‘জাতীয় নবজাতকের সিগন্যাল ফাংশন’ হিসেবে ডিজিএইচএস, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের দ্বারাও স্বীকৃত হয়েছে। জাতীয় নবজাতকের সিগন্যাল ফাংশনগুলি বাংলাদেশে নবজাতক সম্পর্কিত প্রোগ্রাম পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণের আদর্শ মান হিসেবে ব্যবহৃত হবে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনে পরিবর্তিত হতে পারে। অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ, মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অধিবেশনটির সভাপতিত্ব করেন।
আইসিডিডিআর,বি, ন্যাশনাল নিউবর্ন হেলথ প্রোগ্রাম (এনএনএইচপি), স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস) এবং ইউএসএইড আয়োজিত এই আলোচনা অনুষ্ঠানে শতাধিক একাডেমিক, গবেষক, নীতিনির্ধারক, সরকারি এবং উন্নয়ন সহযোগীগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা