দেশের তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে বাংলাদেশের ল্যান্ডিং স্টেশন হতে গভীর সমুদ্রের মূল লাইনের দূরত্ব হবে ১৮৫০ কিলোমিটার।
নিজেদের এই ক্যাবলের জন্য বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সি-মি-উই ৬ কনসোর্টিয়ামে যোগ দিয়েছে। সিঙ্গাপুর-ফ্রান্স পর্যন্ত সি-মি-উই ৬ এর যে মূল রুট হবে সেটি বাংলাদেশ হতে এই ১৮৫০ কিলোমিটার দূর দিয়ে যাবে। এই দূরত্বই হচ্ছে বাংলাদেশের নিজেদের রুট।
আর নিজেদের রুটের ক্যাবল বসানোর পুরো খরচ বাংলাদেশের নিজেদের। সি-মি-উই ৬ কনসোর্টিয়ামের সদস্যরা যৌথভাবে শুধু মূল লাইনের খরচ বহন করবে যেটি সিঙ্গাপুর-ফ্রান্স বসছে। যার দূরত্ব ২০ হাজার কিলোমিটার বা এর কিছু কম বেশি হতে পারে।
দেশের তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল কার্যক্রমে যুক্ত টেলিযোগাযোগ বিভাগের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলছেন, গভীর সাগরে সি-মি-উই ৬ এর মূল রুটের যেখান দিয়ে বাংলাদেশের অংশের সংযোগ নেয়া হবে সেটি ব্র্যাঞ্চিং ইউনিট। এই ব্র্যাঞ্চিং ইউনিট হতে বাংলাদেশের ল্যান্ডিং স্টেশন পর্যন্ত রুটই হচ্ছে বাংলাদেশের রুট, যার দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১৮৫০ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন: নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করছে ফেসবুক
‘অবশ্য এটি এখন প্রাথমিক পরিমাপ। যে কোম্পানি সি-মি-উই ৬ এর কাজ পাবে তারা প্রি-লে সার্ভে করবে তারপর এটি চূড়ান্ত হবে। তখন এটি ১৮১০ হতে ১৮৯০ এর মধ্যে কোনো একটা হতে পারে। এই দূরুত্বে ক্যাবল বসানোর খরচ পুরোটাই বাংলাদেশকে একা বহন করতে হবে। তবে কাজটি কনসোর্টিয়ামের কাজ পাওয়া কোম্পানিই করে দেবে ’ বলছিলেন তিনি।
ওই কর্মকর্তা জানান, ব্র্যাঞ্চিং ইউনিট হতে ক্যাবল এসে কক্সবাজারের ল্যান্ডিং স্টেশনে সংযোগ হবে। এই স্টেশন সি-মি-উই ৪ মানে দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের স্টেশনই। এটি এক্সটেনশন করে সি-মি-উই ৬ এর জন্য ব্যবহার করা হবে।
সোমবার হতে সিঙ্গাপুরে কনসোর্টিয়ামের দরপত্র মূল্যায়ন ও চূড়ান্তকরণ কার্যক্রমে অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশও। দেশের ৩ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল যাচ্ছে এতে। ৬ হতে ১৬ জানুয়ারির মধ্যে কোম্পানি বাছাই চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা কনসোর্টিয়ামের।
সি-মি-উই ৬ কনসোর্টিয়ামে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের ১৫টি অংশীজন যোগ দেয়ার কথা ঠিক হয়েছে। এরমধ্যে চীনেরই আছে তিনটি কোম্পানি। শেষ নাগাদ এখানে হয়তো হয়তো আরও দু’একটি দেশ বা অংশীজন যোগ দিতে পারে।
নতুন ক্যাবলে বাংলাদেশ দুটি ডিরেকশনে ১০ টেরাবিট বা ১০ হাজার জিবিপিএস নিচ্ছে। একটি কক্সবাজার হতে সিঙ্গাপুরের দিকে আরেকটি কক্সবাজার হতে ফ্রান্সে দিকে। দুটিতেই ৫ টেরাবিট করে।
আরও পড়ুন: স্পেনে সাইবার হামলা
এই ব্যান্ডউথের জন্য একটি ফাইবার পেয়ারের অর্ধেক নেয়ায় বাংলাদেশের ৭০ মিলিয়ন ডলারের মতো খরচ হতে পারে বলে ধারণা নেয়া হচ্ছে।
এটি নানা বিষয়ের উপর নির্ভর করে। কনসোর্টিয়ামে অংশীজন বেশি হলে খরচ কমবে। ১৫ জনের জন্য ৮ বা ৯ টা ফাইবার পেয়ার লাগবে। সেক্ষেত্রে অংশীজন যদি ২০টা হয় তাহলে এই ফাইবার পেয়ার লাগবে ১২টা। তখন খরচের বিষয়টি ভিন্ন হতে পারে।
সি-মি-উই (SEA-ME-WE) হচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং পশ্চিম ইউরোপের সংক্ষিপ্ত নাম। এই এলাকার মধ্য দিয়ে ক্যাবলটি স্থাপিত বলে প্রতিটি ক্যাবলের নামে এমনটা যুক্ত থাকে। যেমন সি-মি-উই ৪, সি-মি-উই ৫।
সর্বশেষ সি-মি-উই ৫ কনসোর্টিয়ামে এই এলাকার দেশগুলোর মধ্যে ছিল বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরব, কাতার, ওমান, ইউএই, জিবুতি, মিসর, তুরস্ক, ইতালি, ফ্রান্স, মিয়ানমার, ইয়েমেন। এই ১৯ দেশ ১৯টি ল্যান্ডিং পয়েন্টের মাধ্যমে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। টেক শহর।
Like & Share our Facebook Page: Facebook
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা