“প্রজন্ম হোক সমতার, সকল নারীর অধিকার” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পালিত হতে যাচ্ছে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২০ এবং এবছর আন্তর্জাতিক নারী দিবসে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ ঢাকাসহ দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় সকাল দশটা থেকে এগারটা পর্যন্ত উদযাপিত হল মহিলা সমাবেশ।
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয় আয়োজিত ও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি নারী উন্নয়ন সংগঠনের অংশগ্রহনে মহিলা সমাবেশে প্রাধান অতিথির বক্তৃতায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের দ্বারপ্রান্তে।
বঙ্গবন্ধু নারীর সমঅধিকার ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সংবিধানে নারী-পুরুষের সমতার নিশ্চয়তা প্রদান করেন। জাতির পিতার আদর্শ অনুসারে সমতা সৃষ্টি ও নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক উন্নতদেশকে পিছনে ফেলে দিয়েছে যা বিশ্বে রোল মডেল। আমাদের নতুন প্রজন্ম সমতার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। মুজিব বর্ষে এটাই আমাদের অঙ্গীকার ও প্রত্যয়।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, ১৮৫৭ সালের যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সূচ তৈরীর কারখানায় কর্মরত নারী শ্রমিকরা সমমুজুরীর দাবীতে সোচ্চার হয়। কারখানার কর্মপরিবেশ, অসম মজুরী ও বার ঘন্টা কর্মদিবসের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মিছিল করে। সেই মিছিলে পুলিশ হামলা করে ও অনেক নারী শ্রমিককে বন্দী করে। এই দিনটিকে সামনে রেখে সমঅধিকারের দাবীতে চলতে থাকে বিভিন্ন আন্দোলন। এই দিনটি স্মরণ করার জন্য জার্মান নারী নেত্রী ক্লারা জেটকিন্স ১৯১০সালে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালনের ঘোষণা দেন। বাংলাদেশে দিনটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত হয়ে আসছে।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা এসময় আরও বলেন, নারীর সার্বিক ক্ষমতায়ন, জাতীয় ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, শ্রম বাজারে প্রবেশগম্যতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যেম দক্ষ মানবসম্পদ রুপে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি আরও বলে বাংলাদেশে নারীরা রাজনীতি, প্রশাসন, বিচারবিভাগ, চিকিৎসা, প্রকৌশল,সামরিক বাহিনী, খেলাধুলাসহ উন্নয়নের সর্ব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। বক্তরা নারী উন্নয়নে তাদের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আজকের এ সমাবেশে আরো বক্তৃতা করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পারভীন আকতার, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগম এডভোকেটসহ মন্ত্রনালয়, অধিদপ্তর ও বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ। এ সমাবেশে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি, কন্যা শিশু এডভোকেসি ফোরাম,স্টেপ টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্ট, সেভ দ্য চিলড্রেন, গার্লস গাইড ও ইউসেফসহ বিভিন্ন সংগঠন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা