অনলাইন ডেস্ক
দুই বাংলার শিল্পীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ উৎসবের উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। উৎসবের দ্বিতীয় দিনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি অনলাইনে নজরুলসংগীত কোষগ্রন্থ উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠান চলবে প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালিদের জাতীয় পরিচয় নির্মাণে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান অনস্বীকার্য।
তিনি বলেন, ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে পাকিস্তানি দখলদারদের থেকে মুক্তির দীর্ঘ স্বাধিকার সংগ্রামে কাজী নজরুল ইসলামের তেজোদ্দীপ্ত কবিতা, গান ও সাহিত্য আমাদের অনুপ্রেরণা দিয়েছে। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে একটি স্বতন্ত্র জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পথ নির্দেশ করেছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাগরণের কবি নজরুল ইসলামের দর্শন দ্বারা ভীষণভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর তাঁর স্বীয় উদ্যোগে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির মর্যাদা প্রদান করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু তাই নয়, তিনি কবি রচিত ‘চল্ চল্ চল্, উর্ধ্ব গগণে বাজে মাদল’ গানটিকে বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর রণসঙ্গীত হিসেবে নির্ধারণ করেন। কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে ১৯৭২ সালের ২৫ মে কবির ৭৩তম জন্মদিন পালনের উদ্দেশ্যে ২৪ মে তাঁকে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে সপরিবারে ঢাকায় নিয়ে এসে নাগরিকত্ব প্রদান করেন এবং তাঁর জন্য সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক বিশেষ সমাবর্তনের মাধ্যমে কবিকে ডি.লিট উপাধি প্রদান করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের জুলাই মাসে কবির স্বাস্থ্যের অবনতি হলে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে তৎকালীন পিজি হাসপাতাল বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এরই মধ্যে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। কবিও হাসপাতাল থেকে আর বাড়ি ফিরতে পারেননি। ১৯৭৬ সালের আগস্ট মাসেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় কবির কণ্ঠস্বর ’৪০-এর দশকেই চিরতরে রুদ্ধ হয়ে যায়। তবে ততদিনে তিনি আমাদের জন্য রেখে যান অজস্র গান, কবিতা ও নানান অগ্নিঝরা রচনার অমূল্য সাহিত্যিক সম্ভার। নিপীড়িত মানুষের বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে ধর্মমত নির্বিশেষে সকল বাঙালি মিলেমিশে সাম্য প্রতিষ্ঠিত করে এক নতুন সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন কবি। সেটাই ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’-এর ভিত্তি।
উৎসবে বাংলাদেশ ও ভারতের শতাধিক শিল্পী সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করবেন। বাংলাদেশের শিল্পীদের মধ্যে অংশ নেবেন শাহীন সামাদ, ইয়াকুব আলী খান, খায়রুল আনাম শাকিল, ফেরদৌস আরা, সালাহউদ্দিন আহমেদ, নাশিদ কামাল, ইয়াসমীন মুশতারী, প্রিয়াঙ্কা গোপ প্রমুখ। ভারতীয় শিল্পীদের মধ্যে অংশ নেবেন শ্রীকান্ত আচার্য, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, মনোময় ভট্টাচার্য, জয়তী চট্টোপাধ্যায় ও সুস্মিতা গোস্বামী।
দুই দিনের এ অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর, সারওয়ার আলী, প্রাবন্ধিক মফিদুল হক, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা, গুলশান সোসাইটির প্রেসিডেন্ট এ টি এম শামসুল হুদা, বাংলাদেশ নজরুলসংগীত সংস্থার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াকুব আলী খান, কবির নাতনি খিলখিল কাজী প্রমুখ।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা