অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা নগরী ঘুরে দেখা গেছে, বনানী, ফার্মগেট, শাহবাগ, গুলিস্তান, গ্রীন রোড, ধানমণ্ডি ২৭ নম্বর, বাড্ডা, গাবতলী, মিরপুর, রামপুরা, হাতিরঝিল, নাবিস্কোসহ বেশ কিছু এলাকায় পানি জমে গেছে। ধীরে ধীরে নামছে সেই পানি। দুপুরে বিমানবন্দর এলাকায় দুর্ভোগে পড়া রায়হান নামের এক বাসযাত্রী বলেন, ‘আজমপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত বাসে আসতেই সময় লেগেছে ৩০ মিনিট।’
মিরপুর-১ নম্বরের ক্যাপিটাল মার্কেটের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রুমান মোল্লা বলেন, ‘রবিবার থেকেই ওই এলাকায় ক্রেতা নেই। দোকান বন্ধ করে বাসায় যাচ্ছি। বেচাবিক্রি নেই, তাই দোকান খুলেও লাভ নেই।’
দুপুরে রামপুরায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী জানান, দুপুর ১২টার দিকে আধাঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে বাস পাননি তিনি। পরে অটোরিকশায় বাড়তি খরচে তিনি অফিসে যাচ্ছেন।
বৃষ্টির কারণে সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশা ভাড়া দিগুণেরও বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করে যাত্রীরা।
কল্যাণপুর থেকে নিউ মার্কেটের মিরপুর সড়কে দেখা গেছে, সড়কের দুদিকেই তীব্র যানজট। বাসের সংখ্যা কম থাকলেও সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা বেশি। পথে পথে জমেছে পানি।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে গতকাল সারা দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। আজ মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি কমতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পতেঙ্গা কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ শেখ হারুনুর রশিদ বলেন, ডিসেম্বরে বৃষ্টির কারণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ। মূলত মধ্যরাতের পর থেকে অবস্থার উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেই হিসাবে আজ মঙ্গলবার থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে। তবে শীতের তীব্রতা বাড়বে।
চট্টগ্রামেও দুর্ভোগে পড়ে নগরবাসী। যানজট ও জলজটের পাশাপাশি গণপরিবহনের সংকট ছিল দিনভর। বহদ্দারহাট এলাকার বাসিন্দা হারুন বলেন, ‘সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। দুপুরে তা প্রবল বর্ষণে রূপ নেয়। ফলে অফিস যাতায়াতে মারাত্মক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। এ ছাড়া আমাদের বাসা ও গলির দোকানগুলো জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি ও কাদাজলে একাকার অবস্থায় আছি।’
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা