বহু প্রতীক্ষিত মুহূর্ত, নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করলেন ভারতের অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জী। বাঙালি সাক্ষী রইল সেই গর্বের মুহূর্তের। অর্থনীতিতে এবার যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন অভিজিৎ, তার স্ত্রী এসথার দুফলো ও মাইকেল ক্রেমার।
একেবারে খাঁটি বাঙালি হয়েই আন্তর্জাতিক মঞ্চে নোবেল পুরস্কার নিলেন ভারতের অভিজিৎ ব্যানার্জি (Nobel Laureate Abhijit Banerjee)।
মঙ্গলবার ছিল সেই নোবেল পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠানে। সুইডেনে সেই নোবেলের মঞ্চে এদিন ভারতীয় পোশাকেই উপস্থিত ছিলেন অভিজিৎ ও এসথার। অভিজিতের পরণে ছিল ধুতি-পাঞ্জাবী আর এসথারের পরণে ছিল শাড়ী।
স্বামীকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে শাড়ি পরেছিলেন ফরাসি এস্থার দুফলো। তাঁদের হাতে নোবেল পুরস্কার তুলে দিল রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি (Royal Swedish Academy)। অভিজিতৎ ও এস্থার ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, নোবেল থেকে প্রাপ্য অর্থ দিয়ে দান করবেন গবেষণায়।
গত ১৪ অক্টোবর নোবেল কমিটি এবারের অর্থনীতির জন্য অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জী, এসথার দুফলো ও মাইকেল ক্রেমারের নাম এবার নোবেল পুরস্কারের জন্য ঘোষণা করা হয়েছিল৷
সাউথ পয়েন্ট, প্রেসিডেন্সি কলেজে এবং জেএনইউ-এর সাবেক ছাত্র অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জী৷ অভিজিতের বাবা দীপক ব্যানার্জী এবং মা নির্মলা উভয়েই অর্থনীতির অধ্যাপক। নির্মলা ব্যানার্জী ছিলেন সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্স-এর অধ্যাপিকা।
অন্যদিকে, দীপক ব্যানার্জী প্রেসিডেন্সি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন।
অভিজিৎদের কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে নোবেল কমিটি বলে, “গত দুই দশকে বিশ্বজুড়ে জীবনযাপনের উন্নতি হয়েছে। তবে রয়েছে বহু বাধাও। আজও বহু শিশু স্কুলছুট হয়ে যায় উন্নয়নশীল দেশগুলিতে। বহু শিশু মারা যাচ্ছে এমন রোগে যা সহজেই প্রতিকার সম্ভব। আজও বহু কৃষক জৈব সার ব্যবহার করতে পারেন না যা তাঁদের পক্ষেই লাভজনক হতে পারত।”
নোবেল কমিটি জানিয়েছে, অভিজিৎরা এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজেছেন পরীক্ষামূলক পদ্ধতিতে। দারিদ্রের চরিত্রসন্ধান করেছেন ব্যক্তি হিসেবে দরিদ্রদের বিভিন্নতার কথা মাথায় রেখে। অভিজিৎদের গবেষণা পদ্ধতি হাতেকলমে অনুসন্ধান চালিয়েছে পরিমাণগত পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে।”
Like & Share our Facebook Page: Facebook
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা