অনলাইন ডেস্ক
এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ নিহতের স্বামী শরিফুল ইসলাম খান শরীফ ও শ্বশুর নজরুল ইসলাম খানকে আটক করেছে। আটককৃতরা মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার দক্ষিণ শালজানা গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয়রা জানায়, গত দুই বছর যাবৎ নিপা তার স্বামীর পরিবারের সঙ্গে ধামরাই পৌরসভার কুমরাইল আমবাগান এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। মাঝে মধ্যেই যৌতুকের টাকার জন্য তাকে মারধর করতো শ্বশুরবাড়ির লোকজন। নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে নিপা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে তাদের ধারণা।
নিহত নিপার বাবা সবজাল মির্জা বলেন, ‘স্বামী শরীফসহ পরিবারের সবাই মোটা অংকের যৌতুকের জন্য আমার মেয়ের উপর প্রায়শই অমানুসিক নির্যাতন চালাত। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে জামাইকে দুই দফায় সাত লাখ টাকা দিয়েছি। কয়েকমাস ধরে নতুন করে আরও দুই লাখ টাকার জন্য চাপ দেয়। টাকা দিতে অপারগতা জানালে আবারও অত্যাচার শুরু করে তারা। গতকাল রাতে শরিফ হঠাৎ আমাকে ফোন দিয়ে বলছে নিপা আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু কিভাবে আত্মহত্যা করল তা স্পষ্ট নয়। খবর পেয়ে এসে দেখি আমার মেয়ের লাশ মেঝেতে পড়ে আছে।’
এ ব্যাপারে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে স্বামী-শ্বশুরসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা