ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় তিনজন সন্দেহভাজনের মধ্যে একজনকে ছবি দেখে শনাক্ত করেছেন ওই ছাত্রী। সে ব্যক্তি অটোরিকশা চালক বলে জানা গেছে।
আজ বুধবার দুপুরের পরে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়ছে র্যাব সূত্র। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে কখন আদালতে পাঠাবে এখনো জানায়নি।
এছাড়া সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছ থেকে ছাত্রীর মোবাইল ফোনসহ মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
সকালে ধর্ষণকারী এক ব্যক্তি আটকের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান।
মিজানুর রহমান জানান, ওই শিক্ষার্থীদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এক ব্যক্তিকে আটকের পর তার ছবি ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে দেখানো হয়েছে। তিনি তাকে ধর্ষক বলে শনাক্ত করেছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ধর্ষক একজন সিএনজি চালক। তার বয়স আনুমানিক ৩০-৩৫ বছর। সন্দেহভাজন হিসেবে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে গাজীপুরের টঙ্গী থেকে আটক করা হয়। এরপর দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে তার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ঢামেকে ছাত্রীর কাছে ছবি পাঠানো হয় ওই যুবকের। ওই ছাত্রী নিশ্চিত করার পর তাকে আটক দেখায় র্যাব।
তার বিষয়ে জানতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ‘আটকের বিষয়ে আরও খোঁজ নেয়া হচ্ছে। সে আগেও এ ধরনের ঘটনায় জড়িত ছিল কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে।’
সূত্র আরও জানায়, ছাত্রীর দেয়া বর্ণনার সঙ্গে আটক ব্যক্তির দৈহিক মিল পাওয়া গেছে। ঘটনার সময় আটক ব্যক্তির অবস্থান ও তার দেয়া তথ্যে বেশ কিছু গরমিল পাওয়া যায়। তথ্য উপাত্তে ধর্ষণের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত হয়েই তাকে আটক করা হয়েছে।
গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাতটার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে ঢাবির বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে রাস্তার পাশে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। সেখানে তাকে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করা হয়।
Like & Share our Facebook Page: Facebook
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা