অনলাইন ডেস্ক
কিন্তু আইপিএলের মেগা নিলামের দুইদিনে দুইবার নাম ওঠার পরও সাকিবকে দলে ভেড়ানোর ব্যাপারে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি আগ্রহ দেখায়নি। অবিক্রিত থাকায় তার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট খেলার সুযোগ হয়েছে। ৩১ মার্চ থেকে শুরু হওয়া টেস্ট সিরিজ খেলতে শুধু তার ইচ্ছাটাই যথেষ্ট। প্রশ্ন উঠছিল, সাকিব কি তিন ওয়ানডে সিরিজের পর টেস্টে খেলবেন? এমন প্রশ্নে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বারবারই বোর্ড সভাপতি নাজুমল হাসান পাপনের কোর্টে বল ঠেলেছেন।
গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রতিবারই বলেছেন, সাকিব ও বিসিবি সভাপতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হবে। সবশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে চলাকালিন দুপুরেও তিনি একই কথা বলেন। জানান, টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে দুজন আলোচনায় বসে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট খেলার সিদ্ধান্ত নেবেন।
কিন্তু সোমবার তৃতীয় ম্যাচ শেষে নাজমুল হাসান জানিয়ে দেন, সাকিবের টেস্ট না খেলার কোনো কারণ দেখেছেন না তিনি। তার বিশ্বাস, সাকিবকে পাওয়া যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্টেও।
চট্টগ্রামে নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘সাকিব আমাদের আগে একটি চিঠি দিয়েছিল, যেটায় টেস্ট থেকে ৬ মাসের একটা বিরতি চাচ্ছিল। পরে যখন ওকে জিজ্ঞেস করলাম, বললো আইপিএলের কারণে দুইটা সিরিজ ও খেলতে পারবে না। একটা দক্ষিণ আফ্রিকায় আরেকটা শ্রীলঙ্কা। আমি সাথে সাথে বললাম, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে হবে। ও সাথে সাথে রাজি হয়ে গেল।’
‘শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবে ওইটা এখন আর ইস্যু নয়। যেহেতু ও আইপিএলে নেই, আইপিএলে ও যাচ্ছে না, তাহলে তো দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট না খেলার কোনো কারণ দেখছি না। তাই এই চিন্তাটা মাথা থেকে ভুলে যান। এরকম কিছু আমার মাথায় নেই। আইপিএলের জন্যই যেতে চাচ্ছিল না। যেহেতু আইপিএল নাই, সে খেলবে।’
বোর্ড প্রধানের এমন কথার পরও সাকিবের সাদা পোশাকে অংশগ্রহণ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে থাকে। প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘তাহলে কি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে সাকিবকে পাওয়া যাবে?
নাজমুল হাসান উত্তরে বলেছেন, ‘হ্যাঁ। ও তো ওডিআই খেলতেই যাচ্ছে। টেস্ট খেলবে না! এটা কি বললেন? চলে আসবে? ও খেলবে। আমার ধারণা খেলবে।’
নিজেদের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে বোর্ড প্রধান যোগ করেন, ‘আজ খেলা শেষে দূর থেকে একটা কথা হয়েছে। কাছাকাছি তো যেতে পারি না। আমি ওকে বললাম যে—দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে টেস্ট খেলে আসো, তারপর তোমার সঙ্গে কথা আছে। ও একটু হেসে বললো—আপনি যা বলেন। আমার কথা হচ্ছে ও খেলবে। আমি এখন পর্যন্ত যা জানি ও খেলবে। ও একবারও বলেনি যে খেলবে না। যা বলেছিল আইপিএলের কথা। এর বাইরে তো বলেনি। কথা আসছে কেন?
‘ও খেলবে, খেলবে যান। মনের মধ্যে কোনো ‘যদি, কিন্তু’ নেই। কোনো কিছু নেই।’
শেষমেষ যোগ করেন, ‘যেকোনো খেলোয়াড় যে কোনো ফরম্যাট খেলতে না চাইলে আমার কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু আমাকে আগে বলতে হবে এবং সে বলেছিল, আইপিএলের কারণে খেলতে পারবে না। এখন যেহেতু হচ্ছে না তার মানে সে খেলবে এটাই পরিস্কার। এটা ছাড়া কোনো সুযোগ দেখি না।’
বাংলাদেশের সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করেছিল ২০১৭ সালে। সেবারও সাকিব টেস্ট সিরিজ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। তার টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি অনাগ্রহের আলোচনাও মূলত শুরু হয়েছিল তখনই। আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর সেই আলোচনা সাকিব নিজেই বাড়িয়ে দেন। ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেললেও চোটের কারণে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যান। আইপিএলে খেলবেন বলে গত বছর শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সফরে যাননি। এ বছরের শুরুতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকেও পারিবারিক কারণে ছুটি নিয়েছিলেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা