অনলাইন ডেস্ক
করোনার অতিমারির কারণে এবছর এসএসসি পরীক্ষার সিলেবাস ছোট করা হয়েছে।মাত্র ঐচ্ছিক তিন বিষয়ে পরীক্ষা দিবে শিক্ষার্থীরা, তাও দেড় ঘণ্টায়। গণিত এবং ইংরেজির মত বিষয়ও এবার বাদ পড়েছে। মূল্যায়নের ভিত্তিতে করা হবে উত্তীর্ণ।
পরীক্ষা চলাকালীন করোনার কারণে পরীক্ষায় মাউসির পাশাপাশি ডিএমপির রয়েছে কঠোর কিছু নিষেধাজ্ঞা।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলেন, এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রগুলোর ২০০ গজের মধ্যে পরীক্ষার্থী ছাড়া জনসাধারণের প্রবেশ করতে পারবে না। এ নিষেধাজ্ঞা পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে বলে জানান তিনি।
এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রও নিয়েছেন এবার বাড়তি সতর্কতা। রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, গেইটের সামনে হ্যান্ডস্যানিটাইজার, টেম্পারেচার মাপার যন্ত্রসহ নেয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের দূরত্ব বজায় বজায় রাখার বাড়তি ব্যবস্থা।
পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থী সুমি আক্তার বলেন, আমাদের দীর্ঘদিন পর হচ্ছে পরীক্ষা। পরীক্ষা নিয়ে শঙ্কায় ছিলাম, দিতে পারবো কি পারবো না।অন্যান্য পরীক্ষা যখন বাতিল হচ্ছে তখন ভাবলাম আমাদেরও হবে না, তাতে খুব খারাপও লেগেছে। পরীক্ষা দেয়াতে একটা আমেজ আছে। সব কাটিয়ে পরীক্ষাতো হচ্ছে, যদিও সংক্ষিপ্ত সিলেবাস,তবুও ভালো লাগছে।
সাইমা ইসলাম বলেন, অনেক গ্যাপের ওর পরীক্ষা দিতে আসছি। প্রস্তুতিও খুব ভালো নিয়েছি। ইনশাআল্লাহ পরীক্ষাও ভালো হবে।
এদিকে পরীক্ষার্থীদের সাথে অভিভাকরাও জানিয়েছেন তাদের আনন্দের কথা। অভিভাকরা বলেন, দীর্ঘ দিন পর বাচ্চাদের পরীক্ষা হচ্ছে। যদিও পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিলো ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। তবে এবছর দেরীতে এবং সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হলেও সন্তোষ প্রকাশ করছেন অভিভাকরা
অভিভাবক মো.হাবিবুল্লাহ বলেন, আজ ওয়েদার খুব খারাপ। রাতেই জানতে পেরেছি আজও বৃষ্টি হবে। আমি তাই খুব দ্রুত আমার মেয়েকে নিয়ে চলে এসেছি। আবার চলে যাবো আমি। পরীক্ষা শেষ হলেই তবে আবার আসবো। আমরা সামাজিল দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছি।
শিক্ষার্থী ওয়াহিদার বাবা বলেন, আমার মেয়ে ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে।যানজট, মেঘাচ্ছন্নতার কারণে আমরা একটু দ্রুত বের হয়েছি।
চলতি বছরে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন পরীক্ষার্থী। মোট ৩ হাজার ৬৭৯টি কেন্দ্রে এবারের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে মোট ২৯ হাজার ৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে পরীক্ষায়।
এ দিকে সারাদেশে এসএসসির জন্য নির্ধারিত ৩ হাজার ৬৭৯ টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে ১৮ লাখ ৯৯৮ জন শিক্ষার্থী, দাখিলের ৭১০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে ৩ লাখ এক হাজার ৮৮৭ জন শিক্ষার্থী এবং ভোকেশনালের জন্য নির্ধারিত ৭৬০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে এক লাখ ২৪ হাজার ২২৮ জন।
নয়টি সাধারণ বোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী রয়েছে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ১০০ জন,রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৮ জন, কুমিল্লা বোর্ডে ২ লাখ ২৪ হাজার ৮৭৪ জন, যশোরে ১ লাখ ৮১ হাজার ২৮১ জন, চট্টগ্রামে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯২৫ জন, বরিশালে ১ লাখ ৪ হাজার ৯৯০ জন, সিলেটে ১ লাখ ২১ হাজার ১১১ জন, দিনাজপুরে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৪৪৬ জন এবং ময়মনসিংহে ১ লাখ ৩০ হাজার ৭০২ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
২০২১ সালে গত বছরের তুলনায় মোট পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন। এই বৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এছাড়া মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১৫১টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ১৬৭টি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা