অনলাইন ডেস্ক
তারা তৈরি করেছেন “SAFE2DOFF” নামে একটি জীবাণুমুক্তকরণ চেম্বার। ইতোমধ্যে সফলভাবে বাংলাদেশি তরুণদের তৈরি এই যন্ত্রটি সফলভাবে ইন্সটল ও ব্যবহার শুরু হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারি থেকে হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুরক্ষিত রাখতে ডিসইনফেক্ট্যান্ট চেম্বার অত্যন্ত উপযোগী একটি যন্ত্র। চলমান সঙ্কটে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হলেও মূলতঃ আমদানি নির্ভর হওয়ায় দেখা দিয়েছে সমস্যা। সেই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছেন বুয়েটের একদল সাবেক শিক্ষার্থী।
করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসায় সরকার নির্ধারিত কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে বুধবার (১৩ মে) স্থাপন করা হয়েছে “SAFE2DOFF”।
নির্মাতা দলটিতে আছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, গবেষক, পরিকল্পনাবিদ ও আর্কিটেক্ট। আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণালব্ধ উপাত্তের ভিত্তিতে যন্ত্রটি তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তারা।
কোভিড দুর্যোগের শুরু থেকেই চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছিল বুয়েটের ৯৭ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীরা।
এ প্রসঙ্গে “SAFE2DOFF” চেম্বার ডেভেলপমেন্ট টিমের সদস্য সামিউন নবী বলেন, চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জানতে পারি, অনেক স্বাস্থ্যকর্মীই দ্রুত পিপিই খুলতে গিয়ে জীবাণু আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েন।
এই ঝুঁকি কমানোর জন্য প্রাথমিকভাবে পিপিই জীবাণুমুক্ত করার কাজে একটি সিস্টেম ডেভেলপ করতে পারলে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে তা বেশ কার্যকরী হতে পারে। শুধুমাত্র ফুল সেট পিপিই (গাউন, এন ৯৫ মাস্ক, গগলস, গ্ল্যাভস) পরা থাকলেই এই চেম্বার ব্যবহার করা যাবে।
দলটির আরেক সদস্য ড. আরিফ ইফতেখার বলেন, “পিপিই ব্যবস্থাপনার বিষয়টি কোনোভাবেই হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। পরিধানের প্রথম ধাপ থেকে খোলার শেষ ধাপ এবং পরবর্তীতে জীবাণুমুক্তকরণ পর্যন্ত সঠিক পদ্ধতি মেনে চলা আবশ্যক।”
বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম তৌফিক হাসান বলেন, বুয়েটের মেকানিক্যাল ল্যাবে চেম্বারটির কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়েছে। সেন্সর-বেসড এই অটোমেটিক চেম্বার ব্যবহারে সংক্রমিত হওয়ার কোনো ঝুঁকি নেই।
কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের আইসিইউ প্রধান ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামানের জানান, এই চেম্বারটি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে আনবে।
বিভিন্ন গবেষণার তথ্য-উপাত্ত এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সিডিসি, এফডিএ, ইপিএ’র নির্দেশনা অনুসারে এই চেম্বারের অপারেশনাল প্রোটোকল তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
চেম্বার তৈরিতে সম্পৃক্ত প্রকৌশলী সামিউন নবী বলেন, “ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগকালে আমরা জানতে পারি যে, অনেক স্বাস্থ্যকর্মীই দ্রুত পিপিই ছাড়তে গিয়ে জীবাণু সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েন। এই ঝুঁকি কমানোর জন্য পিপিই ছাড়ার আগে প্রাথমিকভাবে জীবাণুমুক্ত করার কাজে একটি সিস্টেম ডেভেলপ করতে পারলে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা বেশ কিছুটা উন্নত হতে পারে।
চলমান পরিস্থিতিতে শত সীমাবদ্ধতা উপেক্ষা করে এই দলটি আরও একটি চেম্বার প্রস্তুতের কাজ করছে। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী সপ্তাহে সেটি কুর্মিটোলা হাসপাতালে স্থাপন করা হবে।
fblsk
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা