তথ্যমন্ত্রী ও অওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বৃহস্পতিবার ( ৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে জাতি হতাশ বলে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের মন্তব্য সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি মনে করে দেশের সমস্যা রাজনৈতিক। আর তাদের দাবি হচ্ছে সহসা আরেকটি নির্বাচন দেওয়া। এ দাবি জনগণের নয়, বিএনপি’র। যে দাবি জনগণের নয়, সেই দাবির যৌক্তিকতা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেন।’ তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে দেশবাসী খুশি হয়েছেন। কারণ তিনি (শেখ হাসিনা) তাঁর বক্তব্যে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেটি যেমন ব্যাখ্যা করেছেন, তেমনি এ দেশকে আরো সমৃদ্ধির পথে কিভাবে এগিয়ে নিতে চান তাও তিনি উল্লেখ করেছেন।
ড. হাছান বলেন, দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত রাখার কথাও প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথাও বলেছেন,‘আমরা সব ক্ষেত্রে সফল হয়েছি সেকথা বলবো না। নিশ্চয় কিছু দুর্বলতা ছিল’।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে খুশি হয়ে অভিনন্দন জানালেও বিএনপি খুশি হতে পারেনি। বিএনপি’র যে দাবি তা তাদের একান্তই নিজস্ব দাবি, জনগণের দাবি নয়। সেকারণে এই ভাষণে বিএনপি হতাশ কিন্তু দেশের মানুষ হতাশ নয়।
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে বিএনপি’র অভিযোগ সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত হচ্ছে কোনো মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য নির্বচনী প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না।’
কিন্তু সংসদীয় গনতন্ত্র আছে, এমন দেশগুলোতে এ রকম কোনো নিয়ম নেই উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন,প্রতিবেশী গনতান্ত্রিক দেশ ভারত এবং পৃথিবীর অন্যতম গনতান্ত্রিক দেশ যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীরা সরকারি প্রটৌকল বাদ দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের এই নিষেধাজ্ঞা বিএনপিকে সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগের অসুবিধা হয়েছে।
এই মতবিনিময় সভায় ড. হাছান উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশে ‘মিডিয়া’ অনেক বেশী বিকশিত হয়েছে। বাংলাদেশে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে গণমাধ্যমের তাড়াতাড়ি বিকাশ ঘটেছে। তিনিই প্রথমবার দেশে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন দিয়েছেন।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে বেসরকারি টেলিভিশনের লাইসেন্স প্রদান করেন এ কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে ৩৫টি টেলিভিশন চ্যানেল ‘অন এয়ারে’ রয়েছে। তবে টেলিভিশন চ্যানেলের লাইসেন্স পেয়েছে ৪৫টি বলে তিনি জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিকসহ সম্প্রচার মাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের চাকুরি অন্যন্যা আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে। মাস মিডিয়া এমপ্লয়েজস (সার্ভিস এন্ড কনডিশন) এ্যাক্ট পাস হলে সাংবাদিকদের আইনগত সুরক্ষা নিশ্চিত হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ড. হাছান বলেন, ‘আমি তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সাংবাদিকদের আরো ভাল থাকার ব্যাপারে নিরলসভাবে কাজ করে যচ্ছি। বিভিন্ন্ পদক্ষেপের মাধ্যমে মিডিয়ায় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করছি।’
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা: মুরাদ হাসান, তথ্যসচিব কামরুন নাহার, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী, সহ-সভাপতি নজরুল কবির যুগ্ম-সম্পাদক হেলিমুল আলম বিপ্লব ও সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা