অনলাইন ডেস্ক
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, “বৈঠকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক জেলা সদর হাসপাতালে অবশ্যই একটা করে আইসিইউ ইউনিট স্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছেন। ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রত্যেকটা হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিট স্থাপন, প্রত্যেকটি হাসপাতালে যেন ভেনটিলেটর স্থাপন, যথেষ্ট পরিমাণ উচ্চমাত্রার পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা যেন আরও বৃদ্ধি করা হয়’। এ জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনার নির্দেশও প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।”
ছয় বছর আগে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম প্রতিটি জেলা হাসপাতালে আইসিইউ স্থাপন হচ্ছে বলে সংসদকে জানিয়েছিলেন। তবে পরে দৃশ্যমাণ কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছিল না। বর্তমানে সাবেক ওই স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একটি বেসরকারি স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্ব ব্যাংক ও এডিবির অর্থায়নে দুটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়। এই দুই প্রকল্প সরকার প্রধানের নির্দেশে আগে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। আজ বৈঠকে ওই দুই প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
অনুমোদন পাওয়া দুই প্রকল্পের একটি হচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ‘কোভিড-১৯ রেসপন্স ইমার্জেন্সি অ্যাসিস্ট্যান্স (এডিবি-জিওবি)’ প্রকল্প।
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যান্ডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ প্রকল্পটির আওতায় কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত ও পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সক্ষমতা বাড়ানো হবে। জেলা হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট স্থাপনের মাধ্যমে রোগীর চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা সুযোগ বাড়ানোও এই প্রকল্পের লক্ষ্য।
এছাড়াও এ প্রকল্পটির মাধ্যমে সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংক্রমক রোগ বিভাগ, জেলা পর্যায়ে এক্সপান্ডেড প্রোগ্রাম ফর ইম্যুনাইজেশন (ইপিআই) ইউনিট এবং সব সেকেন্ডারি এবং টারশিয়ারি হাসাপাতালে ইনফেকশন প্রিভেনশন ইউনিট স্থাপন করা হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান বলেন, এই প্রকল্পটির মাধ্যমে কোভিড-১৯ এবং ভবিষ্যত মহামারীর জন্য পিসিআরসহ আধুনিক মাইক্রো-বায়োলজিক্যাল ল্যাবরেটরির স্থাপন করা হবে।
রোগীর চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা ও হাসপাতালের সক্ষমতা বাড়াতে ১৭টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় জনবল নিয়ে প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে এই প্রকল্পের আওতায়। প্রকল্পটির মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতের তিন হাজার ৫০০ জন কর্মীকে আধুনিক দক্ষতা এবং জ্ঞানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে পিসিআর মেশিন, পিসিআর ল্যাব, আইসিইউ, পিপিই ও মাস্ক কেনার কাজে এই প্রকল্পের অর্থ ব্যয় করা হবে।
fblsk
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা