মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ২২তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে ৩ হাজার ৩০০ মিটার দৃশ্যমান হলো স্বপ্নের পদ্মা সেতু।
বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে স্প্যানটি বসানো হয়। সেতুর ৫ ও ৬ নম্বর পিলারের ওপর এ স্প্যানটি বসানো হয়। মাওয়া পাড় থেকে সবচেয়ে কাছের স্প্যান এটি।
জাজিরা প্রান্তে এক সাথে যখন ১০টি স্প্যান দৃশ্যমান, সে তুলনায় মাওয়া প্রান্তে মাত্র ১টি স্প্যান বসেছিলো। এখানকার ৬ ও ৭ নম্বর পিলারের ওপরের স্প্যানটি অস্থায়ীভাবে বসানো ছিলো বছরখানেক আগেই। গত মাসে এটিকে স্থায়ী পিলারে তোলা হয়। এবার এ প্রান্তে দ্বিতীয় স্প্যান বসানো হলো।
মাওয়া প্রান্তে কাজ পিছিয়ে থাকার মূল কারণ ছিলো পিলারের নকশায় জটিলতা। এখানকার ১৪টি স্থানে নদীর তলদেশের মাটির গঠনগত কারণে নকশা সংশোধন করে পিলার বানাতে হয়। সে পিলারগুলো এখন পুরো প্রস্তুত।
এর আগে এই মাসের ১৪ জানুয়ারি জাজিরা প্রান্তে ৩২ এবং ৩৩ নম্বর পিলারের ওপর ২১তম স্প্যানটি বসানো হয়েছিলো।
পুরো সেতুতে মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি । প্রতিটি পিলারের রাখা হয়েছিল ছয়টি পাইল। একটি থেকে আরেকটি পিলারের দূরত্ব ১৫০ মিটার। এই দূরত্বের লম্বা ইস্পাতের কাঠামো বা স্প্যান জোড়া দিয়েই সেতু নির্মিত হচ্ছে। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। স্প্যানের অংশগুলো চীন থেকে তৈরি করে বাংলাদেশে আনা হয়।
দ্বিতল পদ্মা সেতু হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরার মধ্যে। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।
তাছাড়া, এ বছরের জুলাই মাস নাগাদ সকল স্প্যান বসানো শেষ হয়ে যাবে এবং আগামী বছরের জুলাই মাস নাগাদ পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল করবে বলে জানানো হয়। একই সাথে বেশিরভাগ পিলার প্রস্তুত হওয়ার ফলে চলতি বছর প্রতি মাসে তিনটি করে স্প্যান বসানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা