অনলাইন ডেস্ক
ভারতীর বোর্ডকর্তারা গত মাসখানেক দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে বসে ছিলেন যে করে হোক, আইপিএল দেশের বাইরে করবেন না। প্রথমত এটা দেশের সবচেয়ে জাকজমকপূর্ণ জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট। দ্বিতীয়ত, দক্ষিণ আফ্রিকার আইপিএল হওয়ার পর দেখা গিয়েছিল, বিদেশি মুদ্রার রোজগার দেশে ফেরত আনা নিয়ে নানা সমস্যায় পড়তে হয়।
কিন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের হার যেভাবে বাড়ছে, তাতে তারা বুঝতে পারছেন না এই পরিস্থিতিতে দেশের মাঠে সেপ্টেম্বরে খেলা করতে পারবেন কিনা? তাদের তৈরি প্রাথমিক গোপন সূচি অনুযায়ী প্রথম ম্যাচ পড়েছে ৩০ সেপ্টেম্বর। ফাইনাল ১২ নভেম্বর।
মুম্বাই, দিল্লি এবং চেন্নাইতে যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে এই তিন শহরকে বাদ দিয়েই মোটামুটি তাঁরা খেলা করার কথা ভাবছেন। কিন্তু নিরাপদ কেন্দ্র হিসেবে যে শহরকে ভাবা হয়েছিল সেই বেঙ্গালুরুতেও যে এদিন লক ডাউন হয়েছে দেখে বোর্ড কর্তারা খানিক আতঙ্কিত। আইপিএল নিয়ে এখনই কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে না। পুরো ভূলাই মাসটা দেখে তারপর তাঁরা ঠিক করবেন। প্রথম এবং মূল লক্ষ্য অবশ্যই ভারতে টুর্নামেন্ট রেখে দেওয়া । নিতান্ত নিরূপায় না হলে তাঁরা চান না জাতীয় ক্রিকেটের এত বড় শো কেস দেশছাড়া হোক।
সমস্যা হল দেশে এরকম অসুস্থতার আবহে খেলা করতে গেলে সব অংশে কেমন প্রতিক্রিয়া হবে আন্দাজ করা যাচ্ছে না। অনেকেই হয়তো বিষন্নতার মধ্যেবিনোদন হিসেবে স্বাগত জানাবেন। কিস্ত এত বড় দেশে কোথা থেকে কে উল্টো আওয়াজ তুলবে কেউ জানে না। কেউ যদি পিআইএল কর দেয়? যদি ম্যাচ খেলতে খেলতে কারও করোনা ধরা পড়ে? তখন তো বিতর্কে- বিক্ষোভে-প্রতিবাদে টালমাটাল হয়ে যাবে ভারতীয় বোর্ড।
বিকল্প হিসেবে তাই ভেবে রাখা হচ্ছে বিদেশি দু’টো শহরের নাম। কলম্বো এবং দুবাই। শ্রীলঙ্কা আপাতদৃষ্টিতে প্রথম পছন্দ হওয়ার কথা। ভারতের এত কাছে। তাছাড়া বিদেশি আগতর জন্য কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ মাত্র একদিন। কিন্ত প্রথম পছন্দ হিসেবে রয়েছে দুবাই। দুটো কারণে। আন্তর্জাতিক পরিবহণ ব্যবস্থা অনেক ভাল কলম্বোর তুলনায়। দুই, স্বাস্থ্য পরিসেবা অপেক্ষাকৃত উন্নত। এখন যে আবহে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক স্পোর্ট হচ্ছে, তাতে উপযুক্ত ব্যাক আপ পরিসেবা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা থাকা খুব জরুরি। দুবাই সেই শর্ত পূরণ করে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটসূচির যা অবস্থা ৩০ সেপ্টেম্বর – ১২ নভেম্বর এই সময়টুকুই ফাঁকা রয়েছে। এরপর বিরাট কোহলিরা চলে যাবেন অস্ট্রেলিয়া। আর আইপিএল-এর কোনও সুযোগ নেই। সেই ২০২১ এর এপ্রিল। তখন খেলা করলে ২০২০ এর টুর্নামেন্ট বাতিল ঘোষণা করতে হবে। বোর্ড কর্তা কী সম্প্রচারক সংস্থা স্টার স্পোর্টস কেউ সেটা চায় না। দু তরফেরই তাতে প্রচুর আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা।
তাই আইপিএল করাতেই হবে। শুধু কোথায়, কীভাবে সেটাই এখন প্রশ্ন। টি-টোয়েন্টিতে যেমন একটা টিম পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং অর্ডার ওলোটপালট করে, এ-ও তাই। জুলাইয়ের ক্যালেন্ডারের শেষ দিনগুলোর দিকে ধৈর্য ধরে বসে থাকা।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা