অনলাইন ডেস্ক
এ সময় আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তারা এবং জাহাজের মালিকপক্ষ এটিকে স্বাগত জানায়।
গত রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ৩মিনিটে আল হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছায় এমভি আবদুল্লাহ। এরপর জাহাজটি বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ ছিল।কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এমভি আবদুল্লাহ রোববার দুবাই পৌঁছায়। সোমবার রাতে মালামাল খালাসের জন্য জাহাজটি হামরিয়াহ বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে। এখন পর্যন্ত নাবিকদের ইচ্ছে অনুযায়ী দুজন বিমানযোগে বাংলাদেশে ফিরবে। এ ছাড়া বাকি ২১ নাবিক জাহাজেই ফিরবেন। তবে নাবিকরা চাইলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনও করতে পারেন।
কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, জাহাজে থাকা কয়লা খালাসের পর অন্য মালামাল লোড করে এটি বাংলাদেশে ফিরবে।
৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।
১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটি ও ২৩ নাবিককে জিম্মি করে সোমালি দস্যুরা। পরে জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিম্মিকালীন সময়ে মালিকপক্ষের তৎপরতায় সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে।
একপর্যায়ে শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টা ৮মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেন। একটি উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ তিনটি ব্যাগভর্তি ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ফেলা হয়।
স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগগুলো কুড়িয়ে নেন। দস্যুমুক্ত হয়ে শনিবার রাতেই সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।
এর আগে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। পরে ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা