দুনীর্তির দায়ে ডিআইজি প্রিজন্সকে গ্রেফতার করেছে দুদক

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কারা অধিদপ্তরের ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (২০ অক্টোবর) দুদকের পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে এবং তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ।এরপর তাদের গ্রেফতার করে।

দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জনের কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তবে, বজলুর রশীদ এর আগে নিজের উপর আসা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি দুটি দুর্নীতি মামলার তদন্ত করেছি। যারা এই দুই দুর্নীতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারাই এই নিউজ করিয়েছে। সবকিছু বানোয়াট।

দুদকের কাছে আসা অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঘুষের কোটি কোটি টাকা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আসতো রশীদের কাছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাঠানো এসব টাকা তুলেছেন তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহার।

দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ কারাগারের একজন কর্মকর্তার স্ত্রীর কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা নেন রাজ্জাকুন নাহার। ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদের সমমর্যাদার আরেক কর্মকর্তার স্ত্রীর কাছ থেকে দুই দফায় নিয়েছেন ৬ লাখ টাকা। এছাড়া ঢাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা একজন কারারক্ষীর কাছ থেকে নিয়োগ-বাণিজ্যের ৫৮ লাখ টাকা নিয়েছেন বজলুর রশীদ নিজেই। আরেক কারারক্ষীর কাছ থেকে নেয়া হয়েছে ৩৮ লাখ টাকা।

অভিযোগ রয়েছে, কারা সদর দপ্তরে ডিআইজি পদে থাকায় বজলুর রশীদ সারাদেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে চাঁদার নামে নির্ধারিত রেটে ঘুষ নিয়ে থাকেন। এই টাকা যেত কুমিল্লার তৌহিদ নামের এক ব্যক্তির কাছে। তিনি তা পাঠাতেন বজলুর রশীদের স্ত্রীর কাছে। তাদের যোগাযোগ হতো ভুয়া ঠিকানায় নেয়া মোবাইল ফোনে। কুমিল্লা থেকে তৌহিদ হোসেন মিঠুর পাঠানো টাকা এসএ পরিবহনের কাকরাইলের প্রধান অফিস থেকে শুধু মোবাইলে মালিকানা নিশ্চিত করে টাকা তুলে নেয়া হয়।