অনলাইন ডেস্ক
শনিবার (২৪ জুন) তাদের আদালতে হাজির করে পু্লিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক রুহুল আমীন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবীরের আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে মতিঝিল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক শাহ আলম বিষয়টি জানিয়েছেন।
রিমান্ডে যাওয়া অপর তিন আসামি হলেন– চাকরিচ্যুত পুলিশ কনস্টেবল মো. এসকেন আলী খান, হাবিবুর রহমান ও পরিতোষ মন্ডল।
এর আগে শুক্রবার (২৩ জুন) মতিঝিলের একটি হোটেল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় তাদের কাছ থেকে মিষ্টির চারটি প্যাকেট, নগদ দেড় লাখ টাকা, চারটি মোবাইল ফোন, দুদকের মনোগ্রাম দেওয়া খাকি রঙের একটি খাম ও দুদকের একটি নোটিশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় একটি মামলা করা হয়।
শনিবার (২৪ জুন) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, ভুয়া অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে দুদকের নামে চিঠি ইস্যু করে তাকে হয়রানি করা হচ্ছিল। এ চক্রে আছেন দুদকের মহাপরিচালকের পিএ গৌতম ভট্টাচার্য, পুলিশ সদস্য (বরখাস্ত) এসকেন আলী খান ও দুই দালাল হাবিবুর রহমান এবং পরিতোষ মন্ডল।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকার ব্যবসায়ী আশিকুজ্জামানকে দুর্নীতির দমন কমিশনের (দুদক) নামে একটি চিঠি দেয় দালাল চক্র। চক্রটি আশিকুজ্জামানকে জানায়, তার বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়েছে। এই মামলা থেকে বাঁচানোর কথা বলে চক্রটি প্রথমে তার কাছে ৫ কোটি ও পরে ২ কোটি টাকা দাবি করে।
এরপর চক্রটি ভুক্তভোগীকে মিষ্টির প্যাকেটে টাকা নিয়ে মতিঝিলের একটি হোটেলে আসতে বলে। এ বিষয়ে আগে থেকেই গোয়েন্দা নজরদারি চালাচ্ছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ। পরে দাবি করা টাকা নিতে চক্রের চার সদস্য হোটেলে এলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা