দুই লাখ বছরেরও বেশি পুরনো মানুষের মাথার খুলির সন্ধান মিলেছে গ্রিসে। এর আগে আফ্রিকায় এত পুরনো মানুষের খোঁজ মিললেও, আফ্রিকার বাইরে এই প্রথম এমন ঘটনার কথা জানা গেল। গ্রিসে উদ্ধার হওয়া মাথার খুলিকে দুই লাখ ১০ হাজার বছরের পুরনো বলে দাবি করেছেন ঐতিহাসিক ও গবেষকরা। সম্প্রতি এসংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ‘নেচার’-এ।
এই আবিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে এটা স্পষ্ট, প্রথম দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষ অন্যত্র বাস করত। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গ্রিস থেকে উদ্ধার হলেও ওই মাথার খুলির সঙ্গে মিল রয়েছে আফ্রিকার আধুনিক যুগের মানুষের। তবে ওই সব মানুষের কোনো কিছুর অস্তিত্ব বর্তমানের মানুষের ডিএনএতে নেই।
গ্রিস নিয়ে গবেষণা বহু দিন ধরেই চলছে। সাতের দশকে গ্রিসের আপিদিমা গুহায় মানুষের দুটি মাথার খুলির জীবাশ্ম খুঁজে পান গবেষকরা। একটি জীবাশ্ম অত্যন্ত বিকৃত ছিল, অন্যটি ছিল অসম্পূর্ণ। কম্পিউটার টোমোগ্রাফি স্ক্যানিং ও ইউরেনিয়াম-সিরিজ ডেটিংয়ের মাধ্যমে গবেষকরা এ জীবাশ্ম দুটির রহস্য উদ্ঘাটন করেন। তুলনামূলক পূর্ণাঙ্গ খুলির জীবাশ্মটি একজন নিয়ান্ডারথাল মানবের। কিন্তু অন্যটি আধুনিক মানুষের মাথার খুলি বলে জানিয়ে দেয় পরীক্ষা। আধুনিক মানুষের জীবাশ্ম থেকে মেলা নমুনার মতোই ওই জীবাশ্মর পেছন দিকে গোলাকৃতির পরিষ্কার বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। তাই এটিকে আধুনিক হোমো স্যাপিয়েন্সের সবচেয়ে পুরনো নমুনা বলে মনে করেছিলেন তাঁরা। এ অবধি সেটিই ছিল আফ্রিকার বাইরে উদ্ধার হওয়া সবচেয়ে পুরনো মানুষের চিহ্ন।
নতুন আবিষ্কার আরো পুরনোকে তুলে ধরল। ইউরোপ ও এশিয়ায় আধুনিক মানুষের যুগে এ পূর্বপুরুষরা তাদের সঙ্গে লড়াইরত নিয়ান্ডারথাল ও ডেনিসোভান প্রজাতিকে ইউরোপ ও এশিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন করেছিল। তবে মানুষের উত্পত্তি আফ্রিকা মহাদেশে বলে ধারণা করা হলেও, ৬০ হাজার বছর আগে বর্তমান মানুষের পূর্বপুরুষরা আফ্রিকা মহাদেশের বাইরে ছড়িয়ে পড়েছিল বলেও প্রমাণ মিলেছে অনেক। সেই প্রমাণকেই আরো জোরালো করল নতুন এই আবিষ্কার।
NB:This post is copied from kalerkantho
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা