অনলাইন ডেস্ক
রাণীশংকৈল থানার ওসি আব্দুল মান্নান জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার দুই বোনের একজন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ছয় জনের নামে থানায় একটি মামলা করেছেন।
পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযান চালিয়ে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার দুপুরে আদালতে হাজির করলে তাদের ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয় বলে ওসি জানান।
গ্রেপ্তাররা রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের ক্ষুদ্র বাঁশবাড়ী গ্রামের আফাজ উদ্দীনের ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৮), রাণীশংকৈল পৌরসভার মহলবাড়ির বাবুল মিস্ত্রির ছেলে রুবেল (২৬), একই এলাকার প্রয়াত জ্যোতিষ চন্দ্র রায়ের ছেলে উপেন দেব (২৮), প্রয়াত মোহাম্মদ আলীর ছেলে ফয়জুল আকতার ওরফে ফজলু (৩৫) এবং নন্দুয়ার ইউনিয়নের দক্ষিণ সন্ধ্যারই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মিলন (২০)।
মামলার আরেক আসামি পীরগঞ্জ উপজেলার প্রয়াত বাবুলের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৪) পলাতক রয়েছেন।
মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা রাণীশংকৈল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খায়রুল আলম বলেন, স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় ‘ধর্ষণের শিকার’ বড়বোন তিনমাস ধরে তার বাবার বাড়িতে ছিল।
“গত সোমবার (১১ মে) দুপুর দেড়টার দিকে মোবাইল ফেনে দেবর জহিরুল ইসলাম ওই মেয়েকে মহলবাড়ি এলাকায় পরিচিত এক ভাবির বাড়িতে তার স্বামী অপেক্ষা করছে বলে জানায়।”
পরিদর্শক খায়রুল বলেন, একথা শুনে দুপুর ২টার দিকে ওই তরুণী তার ১৫ বছরের ছোট বোনকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় উঠলে জহিরুল ও রুবেলের সঙ্গে দেখা হয়। এরপর একটি ভ্যান ভাড়া করে কৌশলে বড়বোন ও ছোটবোনকে মহলবাড়ি এলাকার উপেন দেবের বাড়িতে নিয়ে যায়।
“ওই বাড়িতে আগে থেকে থাকা উপেন দেব, ফয়জুল আকতার, মিলন, আশরাফুল ইসলামসহ জহিরুল ও রুবেল মিলে ওই দুইবোনকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে।”
এরপর এ ঘটনা প্রকাশ না করতে তাদের ভয়ভীতি দেখায় বলে পরিদর্শক খায়রুল বলেন।
খায়রুল আরও বলেন, ঘটনার পর দুই বোনের শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে এই ছয় আসামি তাদেরকে বাড়ির পাশে একটি ভুট্টা ক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। সারারাত তারা ওই ভুট্টা ক্ষেতেই ছিল।
তিনি জানান, পরদিন স্থানীয়রা দেখে পরিবারকে খবর দিলে তাদের উদ্ধার করে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্বজনরা।
খায়রুল আলম আরও বলেন, গ্রেপ্তার পাঁচ জনকে আদালতে হাজির করা হলে তাদেরকে ঠাকুরগাঁও জেলা করাগারে পাঠানো হয়।
“দুই বোনের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া তারা বিচারিক হাকিম আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।”
মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে এবং আরেক আসামি আশরাফুল ইসলামকেও গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে খায়রুল জানান।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা