অনলাইন ডেস্ক
সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে এক বৈঠকে রোডস এন্ড হাইওয়ে ডিপার্টমেন্ট (আরএইচডি) বেলতলী বিশ্বরোড প্রান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক অংশে আন্ডারপাস নির্মাণের একটি প্রকল্প উপস্থাপন করে। এরপর থেকেই শিক্ষার্থীদের মাঝে সংযোগ সড়কের দাবির বিষয়টি আবার আলোচনায় আসে।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী মুনিম হাসান বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের যখন খণ্ড হলো তখন থেকেই এই দাবিটি আমাদের সকল শিক্ষার্থীরই ছিল। সেই সময় সেইরকম কিছু দেখা যায় নি। বর্তমান প্রশাসন যদি একটি সংযোগ সড়কের মাধ্যমে দুটি ক্যাম্পাসকে একত্রিত করতে পারে তাহলে অখণ্ড কুবির ধারণাটি বলবৎ থাকবে। এছাড়া আমাদের শহরে যেতে হয় বিভিন্ন কাজে, যা ক্যাম্পাস থেকে অনেকটাই দূরে। এক্ষেত্রে যদি ঢাকা-চট্রগ্রাম ও কুমিল্লা-চাঁদপুর মহাসড়কের সাথে যদি সংযোগ সড়ক দেয়া থাকে তাহলে শিক্ষার্থীদের উপকার হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রিসাল হাসান বলেন, দুইটা ক্যাম্পাসের মাঝে সংযোগ থাকা উচিত। না হলে ক্যাম্পাস দুইটিকে আলাদা মনে হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাঝে আইডেন্টিটি ক্রাইসিস দেখা দিবে। এছাড়া ঢাকা-চট্রগ্রাম হাইওয়ের সাথে ক্যাম্পাসের রাস্তাটা আরো উন্নত করাও প্রয়োজন। এই রাস্তা বাস চলার উপযুক্ত না। শিক্ষার্থীদের এটা নিয়েও নিয়মিত বিপাকে পড়তে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সংযোগ সড়কের বিষয়টি নতুন ক্যাম্পাস প্রস্তাবনার সময় থেকেই আলোচনায় ছিল। তবে তারা জানান সড়কের বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করার কিছু নেই। বিষয়টি দেখবে এলজিইডি। তবে এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলজিইডি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানানো হবে এবং তারা প্রয়োজন মনে করলে এই বিষয়ে প্রকল্প উপস্থাপন করবেন।
সম্প্রতি বেলতলী বিশ্বরোড প্রান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক অংশে আন্ডারপাস নির্মাণের ক্ষেত্রে রাস্তাটি হবে চার লেইনের। তবে আন্ডারপাসের সড়কটি সংযুক্ত হবে বর্তমানের সরু সড়কটিতে। এতে করে নতুন করে যানজট সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে নতুন ক্যাম্পাস চালু হলে এবং এর আগে সংযুক্ত সড়কটিও প্রশস্ত না করলে ব্যাপক ভোগান্তি হতে পারে বলে তারা জানান।
এছাড়া বর্তমান ও নতুন ক্যাম্পাসের মধ্যবর্তী অতিরিক্ত সংযোগ সড়কের চেয়ে বর্তমান সড়কটিকে চার লেইনে উন্নীত করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। তবে সড়ক তৈরি করার ক্ষেত্রে নতুন ভূমি বা ফসলী জমি ব্যবহারের প্রয়োজন পড়লে সরকার সেসব ক্ষেত্রে আগ্রহ কম দেখায় বলেও জানান তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, যা শিক্ষার্থীদের দাবি তা আমাদেরও দাবি। নতুন ক্যাম্পাস ও বিশ্বরোডের সাথে বড় সংযোগ সড়কের প্রয়োজনীয়তা আমরাও অনুভব করছি। এই বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সাথে ইতোমধ্যেই কথা বলেছি। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সাথেও আমরা কথা বলেছি, তিনি আমাদের এই ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আশাবাদী।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা