অনলাইন ডেস্ক
এদিন গঙ্গা রাম হাসপাতালের মেডিক্যাল ডিরেক্টর সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি থাকা সবথেকে অসুস্থ ২৫ জন মারা গিয়েছে। দুই ঘণ্টার বেশি অক্সিজেন বেঁচে নেই। ভেন্টিলেটর এবং বাপ্যাপ ঠিক ভাবে কাজ করছে না। এক্ষুণি অক্সিজেন এয়ারলিফ্ট করিয়ে আনতে হবে। নাহলে হাসপাতালের ৬০ জন রোগীর জীবন বিপন্ন হতে পারে।’ এই আবেদনের পরেই সেই হাসপাতালে পৌঁছে যায় অক্সিজেন বাহী ট্যাঙ্কার।
জানা যায় অক্সিজেনবাহী ট্যাঙ্কারের ড্রাইভার রাস্তা না চেনায় মাঝ রাস্তায় আটকে পড়েছিল সেটি। পরে গঙ্গা রাম হাসপাতালের কর্মী গিয়ে তাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে আসে। এদিকে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দিল্লি পুলিশ জানায় যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও ‘ডিসট্রেস কল’ করে গ্রিন করিডোরের আবেদন করা হয়নি। তা করা হলে এই বিপত্তি ঘটত না। এদিকে পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় দিল্লি পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের তরফে প্রতিনিধি হাসপাতালে রয়েছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান, ভাঁড়ার বাড়াতে এবার দিল্লি ওড়িশা থেকে বিমানে অক্সিজেন আনাবে। অক্সিজেনের বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য বৃহস্পতিবারই দিল্লি হাইকোর্ট এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন কেজরিওয়াল।
কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, আগে দিল্লির জন্য বরাদ্দ ছিল দৈনিক ৩৭৮ মেট্রিক টন মেডিক্যাল অক্সিজেন। এখন সেই পরিমাণ বাড়িয়ে ৪৮০ মেট্রিক টন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার রাজধানীর জন্য অক্সিজেনের বরাদ্দ বাড়ানোয় মোদী সরকারকে ধন্যবাদ জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, এটুকু বরাদ্দ বৃদ্ধিই যথেষ্ট নয়। কারণ, বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য এখনই দৈনিক ৭০০ মেট্রিক টন মেডিক্যাল অক্সিজেন দরকার।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা