অনলাইন ডেস্ক
বুধবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেওয়া হয়।
মেয়রের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদকে) চিঠি দেওয়া হয়েছে।
মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বিএনপির রংপুর বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে ৬৪ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা ছাড়াই ২ কোটি ৪৭ লাখ ৫৯ হাজার ৬০৫ টাকার টেন্ডার করা এবং পরবর্তী সময়ে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে পরবর্তী ৩ বছরের বরাদ্দ থেকে তা সমন্বয়ের কারণে কোনো টেন্ডার করা হয়নি, যা বিধিসম্মত হয়নি বলে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের মধ্যে রয়েছে- প্রশাসনিক অদক্ষতা, ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা ছাড়াই টেন্ডার করা, ১৯৩ জন মাস্টার রোল কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের ধার্যকৃত নিবন্ধন ও নবায়ন ফি হতে আদায়কৃত অর্থ বর্ণিত সিদ্ধান্তের বাইরে বেতন-ভাতা সম্মানী খাতে ব্যয় করা, ৬১টি বিলবোর্ডের ভাড়ার টাকা আদায়ে কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করা, দিনাজপুর বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে পৌরসভার জমি ভাড়ার টাকা দাবি করে ২৪ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করা এবং এ কারণে অব্যবস্থাপনা তৈরি হয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হতে পৌরসভা বঞ্চিত হওয়া, পৌরভবন নির্মাণে জন্য বরাদ্দকৃত ৩৮ লাখ টাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বোনাস দেওয়া, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদের সম্মানী ভাতা প্রদান ইত্যাদি।
উপরে উল্লেখিত এসব অভিযোগ প্রমানিত হওয়ার কারণে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জনস্বার্থে জারি করা হলো এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে মর্মে বলা হয়েছে।
পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বরখাস্তের বিষয়ে কিছু জানি না। আমার বিরুদ্ধে ২০১২ সালে ২০১৫ সালে দুদক তদন্ত করে আমাকে অব্যাহতি দিয়েছে। এবারও আমি অব্যাহতি পাব।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা