অনলাইন ডেস্ক
জাতির পিতা কখনো নীতির সাথে আপোষ করেননি। তাই যুদ্ধাপরাধীর দল থেকে যেন কেউ আওয়ামী লীগে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে এদিক ওদিক থেকে কিছু লোক জোটে এবং দলের ভেতর এসে নানা রকম অঘটন ঘটায় অপকর্ম করে, যার বোঝাটা দলকে বয়ে নিয়ে বেড়াতে হয়। যখন আসে তখন খুব ভাল ব্যবহার করে, এমনভাবে চলে আসে যে আমাদের কেউ কেউ দলভারী করার জন্য তাদেরকে কাছে টেনে নেয়। কিন্তু এটা নেওয়া আমাদের জন্য সত্যি খুবই ক্ষতিকারক।
রবিবার (৩০ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। আয়োজনে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এবার আমরা এক সংকটময় সময়ে আশুরা পালন করছি। করোনাভাইরাস সমগ্র বিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছে। আমাদের সরকার এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরা জনগণকে সব সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। আল্লাহ বিপদে মানুষের ধৈর্য পরীক্ষা করেন। এসময় সবাইকে ধৈর্য নিয়ে সহনশীল ও সহানুভূতিশীল মনে একে অপরকে সাহায্য করে যেতে হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী করোনার ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত সবাইকে সতর্কতা বজায় রেখে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার সঙ্গে কারবালার ঘটনার মিল রয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, ঘাতকেরা এতো সাহস পেয়েছিলেন জিয়াউর রহমানের প্রশ্রয়ে।
তিনি বলেছেন, হিজরি ৬১ সালের ১০ মুহররম মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (র.) ও তার পরিবারবর্গ কারবালার প্রান্তরে শাহাদাৎ বরণ করেন। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় তাদের এ আত্মত্যাগ মুসলিম উম্মাহর জন্য এক উজ্জ্বল ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
আর, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরের আলো ফোটার আগেই বাঙালি জাতিকে মুক্তির আলো দেখানো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল চক্রান্তকারী কিছু বিপথগামী সেনাসদস্য। ঘাতকেরা সেদিন নারী ও শিশুদেরও রেহাই দেয়নি, যা ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায় হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কারবালার হত্যাকাণ্ডেও নারী ও শিশুদের হত্যা করা হয়নি। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নারী-শিশুরাও রক্ষা পায়নি।
শেখ হাসিনা বলেছেন, বাঙালীকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর দেখা স্বপ্নের পথেই হাটছে বাংলাদেশ।
পরে জাতির পিতাসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া মাহফিলে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা