অনলাইন ডেস্ক
ধীরে ধীরে বেড়ে চলা থাইরয়েডের সমস্যাকে অতটা গুরুত্ব দেন না অনেকেই। চিকিৎসকরা কিন্তু থাইরয়েডের সমস্যাকে সাইলেন্ট কিলার বলেন। কারণ, এই রোগ আপনার শরীরকে ভিতর থেকে ক্ষয় করে দিতে থাকে, যদিও আপনি তা টের পান না। তা নিজেও জানতে পারবেন না। এই রোগে শুধু ওষুধ খেলেই হয় না, শরীরকে দিতে হয় যথেষ্ট পরিমাণ পুষ্টিও। থাইরয়েড যেহেতু হরমোনের ভারসাম্যকে নষ্ট করে, তাই বেশ কিছু খাবারকে দূরে ঠেলে কয়েকটা সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই সুস্থ থাকবে শরীর।
১. পুষ্টিবিদরা মনে করেন, ডায়রয়েড আক্রন্তদের প্রসেসড ফুড বা প্যাকেটজাত খাবার থেকে দূরে থাকা উচিত। কেননা বিস্কুট, চিপস, মাল্টি গ্রেইন ইত্যাদি প্রসেস করা খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রিজারভেটিভ, নুন ও সোডিয়াম দেওয়া থাকে। থাইরয়েডের ক্ষেত্রে যা খাওয়া একদম উচিত নয়। সোডিয়াম ব্লাড প্রেশার বাড়িয়ে দেয়। তাই তা এড়িয়ে চলাই ভাল।
২. জোয়ার-বাজরা দিয়ে তৈরি রুটি, থেপলা থাইরয়েডের রোগীদের জন্য উপকারী। অর্থাৎ মাল্টি গ্রেইনের বদলে হোল গ্রেইন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। কারণ এতে রয়েছে ফাইবার, কার্ব, আয়োডিন যা থাইরয়েড সমস্যায় ভুক্তভোগীদের জন্য জরুরি। তবে বাদ দিতে হবে পাউরুটি, পাস্তা, বার্গার, কেক, পেস্ট্রির মতো খাবার।
৩. শরীরে ফ্যাট হলে থাইরয়েড গ্ল্যান্ডে হরমোন তৈরিতে বাধা দেয়। তাই অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড ও তেলজাতীয় খাবার যেমন-মাখন, মেয়োনিজ, তেলেভাজা খাবার বাদ দেওয়া উচিত খাদ্য তালিকা থেকে।
৪. শরীরে আয়োডিন ও প্রোটিন মিশে থাইরয়েড হরমোন তৈরি করে। তাই খাদ্যাভ্যাসে রাখুন দই, চিজ, বাদাম, ডিম, দুধ, পনির, সামুদ্রিক মাছ, মাংস, ডাল, বাদাম এবং আপেল, বেদানা, কমালালেবু ও আঙ্গুর জাতীয় ফল। বন্ধ করতে হবে সয়াবিন। কেননা সয়াবিনে থাকা আইসোফ্ল্যাভিন থাইরয়েডের ক্ষেত্রে সমস্যার কারণ হতে পারে। এর বদলে রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন অলিভঅয়েল বা নারকেল তেল।
এছাড়াও তালিকা থেকে প্রিয় ফুলকপি, ব্রকোলি, বাঁধাকপি, শালগম বাদ দিন। এর বদলে খেতে পারেন পালংশাক, সীম, লাউ, মুলা, টমেটো, লেবু ইত্যাদি। একই সাথে ছাড়তে হবে মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার, কফি, অ্যালকোহল, কোল্ড ড্রিঙ্কস। পাশাপাশি অবশ্যই প্রতিদিন সময় দিতে হবে শরীর চর্চায়। এভাবে রুটিন মাফিক জীবন পরিচালনা করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে আপনার থাইরয়েড।