দুর্ঘটনার খবর শুনেই হাসপাতালে ছুটে যান সোহেল রানা ভুঁইয়া। বাংলাদেশ রেলয়ে ফ্যান গ্রুপের সদস্য এবং ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া নেটিভ ল্যাঙ্গুয়েজ গ্রুপের সদস্য। তিনি পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য সরকারি বাহিনীর পাশাপাশি একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দুর্ঘটনা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ান। তিনি সেই অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন লাল সবুজের কথা’র কাছে।
তিনি বলেন, আমাকে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর প্রথম ডেইলি স্টারের প্রতিনিধি মাসুক আহমেদ জানায়। আমার বাড়ি থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে এই দুর্ঘটনাটা ঘটেছে। তাই আমি দ্রুত হাসপাতালে যাই। সেখানে গিয়ে আমি অনেকগুলো ছবি আর একটা ভিডিও দেখি। সেগুলো দেখে মনে হয়েছে হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি হবে। তিনি বলেন, আমরা হাসপাতালে গিয়ে প্রথমেই যারা ফ্লোরে ছিল তাদের সঙ্গে কথা বলি। তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে কিনা জানতে চাই। যাদের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে বলেছে তাদেরকে রেখে আমরা অন্যদের খোঁজ নিই। এসময় আমরা এক শিশুকে পাই, যার ছবি ফেসবুকে দিয়েছি। তার সঙ্গে কেউ ছিলনা। পরে তার দাদিকে হাসপাতালে পাই। তিনি শিশুর ছবি দেখে বলেন যে, এটা আমার বোন (নাতনি)। এরপর থানার ওসির মাধ্যমে আমরা জানতে পারি তাদের পরিবারের চারজন একসঙ্গে যাচ্ছিল। বাবা-মাকে কুমিল্লায় হাসপাতালে নিয়ে যায়া হয়েছে। আর দাদি আর নাতনি এই হাসপাতালে আছে।
আরও পড়ুন : ট্রেন দুর্ঘটনা: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের তথ্যানুযায়ী নিহত ১৬, আহত ৬৪
আমার এক ছোটভাই তুর্ণা নিশিথা ট্রেনে ছিল। সে মা-বাবা-ভাই-বোন, স্ত্রী সবাইকে নিয়ে যাচ্ছিল। সে আমাকে বলেছে, আমি নিজে ২০টা মরদেহ গুনেছি। এরপর আমি আর গুনতে পারিনি। পরিবার নিয়ে চলে এসেছি।
আমাকে ছোঁয়ামনির মামা বলেছে, তার বোন রাতে ফোন দিয়ে জানায় যে ট্রেন একসিডেন্ট হয়েছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে এম্বুলেন্স নিয়ে সেখানে আসেন। প্রথমে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পরে হবিগঞ্জে যান। সেখান থেকে তাদেরকে ঢাকায় রেফার করেছে।
আমি ছোঁয়ামনির মরদেহ এম্বুলেন্সে তুলে দিয়ে এসেছি। তারা মামা তাকে নিয়ে বাড়ি গেছে। আমি আসার সময় ছয়টা এম্বুলেন্সে ৮ জনকে হাসপাতাল থেকে ঢাকায় রেফার করতে দেখেছি। তাদেরকে সরকারি খরচে সম্ভবত ঢাকা সিএমএইচে নিয়ে যায়া হবে।
মঙ্গলবার ভোররাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও আন্তঃনগর তূর্ণা নিশীথার মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৬ জন নিহত হন।
ফেসবুক পেজ :
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা