বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের উদ্যোগে ঢাকার রায়েরবাজারে “নীতিতে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ” শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সভায় প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইনস্টিউট অব ওয়েলবিয়িং এর নির্বাহী পরিচালক দেবরা ইফরইমসন, দি ইউনিয়নের কারিগরী পরামর্শক এড. সৈয়দ মাহবুবুল আলম, একাত্তর ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ডা. মো: খালিদ শওকত, সিনিয়র সাংবাদিক নিখিল চন্দ্র ভদ্র প্রমূখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইপসা’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. নাজমুল হায়দার, নাটাবের প্রকল্প সমন্বয়কারী একেএম খলিল উল্লাহ প্রমূখ।
ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দা অনন্যা রহমানের সঞ্চালনায় সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যমুনা টিভির বিশেষ প্রতিনিধি ও তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষক সুশান্ত সিনহা।
সভায় বক্তারা বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো মানুষের হাতে মৃত্যুশলাকা তুলে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে সহায়ক নীতি প্রণয়ন বিলম্বিতকরণ ও বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও নীতি-নির্ধারনী পর্যায়ে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে সুবিধা আদায় করছে কোম্পানিগুলো। ফলে, অনেক ক্ষেত্রেই জনস্বাস্থ্য উপেক্ষিত থাকছে।
কোম্পানির এ ধরনের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি এফসিটিসি’র (ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল) সাথে সাংঘর্ষিক। বাংলাদেশ এ চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসাবে এফসিটিসি’র প্রতিপালনে নৈতিক দায়বদ্ধতা এড়িয়ে চলা উচিৎ নয়। এতে করে কোম্পানি লাভবান হবে এবং চরম হুমকির মুখে পড়বে জনস্বাস্থ্য।
জনস্বার্থে প্রণীত নীতি ও গৃহিত উদ্যোগ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য বিদ্যমান আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন ও সহায়ক নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে তামাক কোম্পানিগুলোকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী।
আরও পড়ুন : কবি, স্থপতি রবিউল হুসাইনের মৃত্যুর কারণ বর্ণনা করলেন ডা. হারিসুল হক
ফেসবুক পেজ :
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা