অনলাইন ডেস্ক
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এল নিনোর বিস্তার ঘটেছে। গাছ ও ফসল ঠিক রাখতে বেশি করে পানি দিতে বলছেন কৃষিবিদরা।
গ্রীষ্মের উত্তাপে পুড়ছে প্রকৃতি। আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব সরাসরি পড়ছে ফসলের খেতে, মওসুমী ফলের গাছে। কৃষিবিদরা বলছেন, ৩৫ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা ধানের ক্ষেতের জন্য অসহনীয়, অথচ দেশে এখন তাপমাত্র ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অতি তাপদাহে ধান ছাড়াও মওসুমী ফল আম, কাঠাল, লিচুর বাগানের ক্ষতি হচ্ছে।
রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর এলাকায় বাগানে অন্তত ২০ শতাংশ আম, লিচু ও কাঠালের গুটি ঝরে গেছে। গাছে পানি ছিটিয়েও গুটি রক্ষা করা যাচ্ছে না। অতিরিক্ত পানি দেয়ায় খরচও বেড়ে যাচ্ছে। রাজশাহী, চাপাইনবাগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটরে ৯৩ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। দিনাজপুরে সাড়ে ৫ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে লিচুর গাছ রয়েছে। আম ও লিচুর ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষীরা।
মাঠের ধান ঘরে তুলতে আরও ২৫ দিন সময় লাগবে। চলমান দাবদাহে ধান চিটা হওয়ার শঙ্কায় চাষিরা। স্বাভাবিক সময় দুইদিন পরপর সেচ দিতে হলেও এখন প্রতিদিন ৫ থেকে ৯ ঘণ্টা সেচ দিতে হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে প্রতি বিঘা ধঅনের জমিতে ১৮শ’ থেকে ২ হাজার টাকা সেচ খরচ হলেও এখন সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। আউশের বীজতলা নিয়েও শঙ্কায় পড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।
শাক-সবজির ক্ষেতু পুড়ছে তাপদাহে। হলুদ হয়ে যাচ্ছে সবজি চারা। পোকার আক্রমণ বাড়ছে ক্ষেতে। পোকা দমাতে বাড়তি কীটনাশক দিতে বাড়ছে খরচ। মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে যাওয়ায় নতুন করে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ করতে পারছেন না চাষিরা।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বর্তমানে এল নিনোর প্রভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে চরম বিপর্যয় বয়ে নিয়ে এসেছে। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। এই তাপপ্রবাহের ক্ষতি থেকে বাঁচতে জমিতে ও গাছে পর্যাপ্ত পানি দিতে বলছেন কৃষিবিদরা।
তীব্র গরমে বেশিক্ষণ মাঠে কাজ করতে পারছেন না চাষিরা। হাড়ভাঙা এই খাটুনির পরেও ফলন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে তাদের।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা