অনলাইন ডেস্ক
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা বলেন, “প্রথমে যে তালিকা করা হয়েছিল তাতে ২০ শতাংশ মানুষ এই সুবিধা পাওয়ার উপযুক্ত ছিলেন না। একই মোবাইল নম্বর বার বার ছিল। কারও নাম ও মোবাইল নম্বরের সঙ্গে আঙুলের ছাপ মিলতো না। “সে কারণেই নতুন করে যাচাই-বাছাই করে তালিকা করতে হচ্ছে।”
এই নগদ টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনিয়ম বা দুর্নীতির সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র। একজন দুই বার বা একাধিক বার পাওয়ারও কোনো সুযোগ নেই বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
তালিকা নিয়ে জটিলতার কারণে পুরো কার্যক্রম এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দেখভাল করছে। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চারটি এমএফএস প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে নতুন গাইডলাইনও দেওয়া হয়েছে।
তাতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের এনআইডি ডেটাবেজ থেকে এনআইডি/স্মার্ট আইডি পরীক্ষা করে এমএফএসগুলোকে সুবিধাভোগীর হাতে টাকা দিতে হবে।
যারা সরকারের বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন ভাতা পান, যেমন- বেদে, গৃহিণী, হিজড়া, পথ শিশু, স্বামী পরিত্যক্তা, বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী, ইমাম, চা শ্রমিক, বস্তিবাসী, ভিক্ষুক, ভবঘুরে, বেকার- এরা প্রধানমন্ত্রীর এই ‘ঈদ উপহার’ পাবে না।
চারটি মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের (এমএফএস) মাধ্যমে দেওয়া এই অর্থ শুক্রবার পর্যন্ত ৩০ শতাংশ মানুষের কাছে পৌঁছেছে। প্রতিদিনই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নতুন তালিকা পাঠানো হচ্ছে এমএফএসগুলোর কাছে। সে তালিকা অনুযায়ী টাকা পৌঁছে দিচ্ছে তারা।
প্রথমে তালিকা নিয়ে জটিলতা দেখা দেওয়ায় এখন তালিকা যাচাই-বাছাই করে ‘সঠিক দরিদ্র’ মানুষকে খুঁজে বের করার কাজটি করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসি।
শুক্রবার পর্যন্ত বিটিআরসি ১১ লাখের সঠিক তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়েছে। শনিবার দুপুরের মধ্যে আরও ১৫ লাখের তালিকা পাঠানো হবে। এভাবে যতক্ষণ ৫০ লাখ না হবে ততক্ষণ তালিকা পাঠানো হবে। বিটিআরসির এই তালিকা অনুযায়ী এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলো টাকা পৌঁছে দিচ্ছে প্রকৃত সুবিধাভোগীর হাতে।
বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, “অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ করার পর আমরা এই কাজটি করছি। আমরা খুবই চেষ্টা করছি যাতে ঈদের আগেই সবার হাতে টাকা যায়।” বিটিআরসির কর্মকর্তারা রাত জেগে কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা নগদের মাধ্যমে ১৭ লাখ, বিকাশের মাধ্যমে ১৫ লাখ, রকেটের মাধ্যমে ১০ লাখ এবং শিওরক্যাশের মাধ্যমে ৮ লাখ পরিবারের কাছে এই টাকা পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
যেভাবে তালিকা আসছে তাতে ঈদের আগেই অধিকাংশ পরিবার প্রধানমন্ত্রীর ‘ঈদ উপহার’ পেয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক।
তিনি বলেন, “আগে আমাদের কাছে ৫ লাখ ১৫ হাজারের তালিকা এসেছিল। বৃহস্পতিবার এসেছে ৭৮ হাজার ৮৮৬ জনের তালিকা। “এদের সবার টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন তালিকা আসলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের টাকা পৌঁছে দেওয়া হবে। আজ আমরা জুমের মাধ্যমে অনলাইনে আমাদের সারা দেশের এজেন্টদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সবাইকে বলেছি, প্রয়োজনে ঈদের দিনও প্রধানমন্ত্রীর এই ঈদ উপহার সঠিক মানুষটির কাছে পৌঁছে দিতে হবে।”
ডাক বিভাগের প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ‘নগদ’। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ভালো উদ্যোগ সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে নগদের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং এজেন্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
fblsk
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা