অনলাইন ডেস্ক
শনিবার (১৬ মে) থেকে ঢামেকের ভবন-২ এ এই ভাইরাসের (কভিড-১৯) চিকিৎসায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে প্লাজমা থেরাপি।
বাংলাদেশে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলোজি বিভাগের অধ্যাপক এম এ খান বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে জয়ী হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা তিনজন চিকিৎসকের প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে। প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের কাজটি শেষ হতে পারে আগামী জুনে। প্রাথমিকভাবে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪৫ জন গুরুতর অসুস্থ করোনা রোগীর ওপর আশা জাগানিয়া ‘প্লাজমা থেরাপি’ প্রয়োগ করা হবে।’
ঢামেক হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মহিউদ্দিন আমহেদ খান বলেন, ‘আপতত এখানে ভর্তি থাকা রোগীদেরকেই এ থেরাপি দেওয়া হবে। পরে কুর্মিটোলা বা কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল আগ্রহী হলে সেখানেও এ থেরাপি দেওয়া হবে।’
ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশে প্লাজমা থেরাপির মাধ্যমে কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
করোনাজয়ী যে তিনজন চিকিৎসক প্লাজমা দিতে রাজি হয়েছেন, তারা হলেন- ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক দিলদার হোসেন বাদল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের চিকিৎসক পিয়াস ও কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের আতিয়ার রহমান।
চিকিৎসকরা জনিয়েছেন, রক্তের তরল হলুদাভ অংশকে প্লাজমা বা রক্তরস বলা হয়। রক্তের মধ্যে তিন ধরনের কণিকা ছাড়া বাকি অংশই রক্তরস আর রক্তের প্রায় ৫৫ শতাংশই রক্তরস।
প্লাজমা থেরাপি হলো, আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে যাওয়া রোগীর শরীরে এই ভাইরাস প্রতিরোধী এক ধরনের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। সেই অ্যান্টিবডিযুক্ত প্লাজমা সংগ্রহ করে করোনাভাইরাস আক্রান্ত অন্য রোগীর শরীরে প্রবেশ করিয়ে ভাইরাসটিকে মেরে ফেলা হয়।
এই বিষয়ে অধ্যাপক এম এ খান বলেন, ‘প্লাজমা থেরাপি হলো শতবর্ষের পুরোনো চিকিৎসাপদ্ধতি। বেসিক মেকানিজমটা হল যখন কেউ কোনো রোগে আক্রান্ত হন, তখন সেই সুস্থ হবার পর সেই ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে তার রক্তে এক ধরনের অ্যান্টিবডি প্রোটিন তৈরি হয়। ওই প্রোটিন ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের চারপাশে আবরণ তৈরি করে, যা ভাইরাস-ব্যাবটেরিয়াকে অকেজো বা নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। এভাবে অ্যান্টিবডি শরীরের ভেতর সক্রিয় ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার কার্যক্রম ধ্বংস করে দেয়।’
অধ্যাপক এম এ খান আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাস একটি নতুন ভাইরাস বলে এর চিকিৎসায় কার্যকর উপায় নেই। আর তাই সারাবিশ্বে প্লাজমা থেরাপির ব্যবহার শুরু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গাইডলাইন অনুযায়ি আমরা করোনাজয়ী সুস্থ ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ শুরু করব। এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা না থাকায় যারা প্লাজমা ডোনেট করবে তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’
fblsk
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা