রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ধর্ষণের শিকার হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দ্বিতীয় বর্ষের ভুক্তভোগী ছাত্রী সোমবার পুলিশকে জানিয়েছেন যে অপরাধী একা ছিল।
পুলিশের উপকমিশনার (গুলশান বিভাগ) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জেনেছি যে ধর্ষক একা ছিল।’
কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের কাছে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, ঢাবি ছাত্রী কুর্মিটোলা বাস স্ট্যান্ডের কাছে ঝোপের মধ্যে ধর্ষিত হন। সেখান থেকে আলামত হিসেবে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বই, চাবির রিং, ইনহেলার ও হাতঘড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
সুদীপ আরো বলেন, সিআইডি ক্রাইম সিনের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম ধর্ষণের জায়গা থেকে কালো প্যান্ট, একটি টুপি, জুতা ও অন্যান্য কয়েকটি জিনিস সংগ্রহ করেছেন।
এগুলো পরীক্ষা করার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি। ডিসি বলেন, তারা ঘটনাটি নিবিড়ভাবে তদন্ত করছেন এবং ধর্ষককে চিহ্নিত করে যত দ্রুত সম্ভব গ্রেপ্তার করতে সব পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
লোকজন না থাকায় ধর্ষক ওই এলাকা বেছে নিয়েছে জানিয়ে সুদিপ চক্রবর্তী বলেন, এই এলাকায় তেমন জনসমাগম দেখা যায় না। ব্যস্ততম সড়ক, সবাই যাওয়া-আসার মধ্যে থাকে, কেউ থামে না। কিছু ঘাস ও গাছ ছিল, ধর্ষক সেই সুবিধা নিয়েছে।
মামলাটির তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দলও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধারণা ওই ছাত্রী একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হলেও ধর্ষক একজনই ছিলেন।
এদিকে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গতকাল দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মেয়েটির গলা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন আছে। কিছু আঘাত হয়েছে ধর্ষণকারীর দ্বারা, আর কিছু হয়েছে ঘটনাস্থলের কারণে। জঙ্গলের কারণে তার পায়ে কিছু আঘাত লেগেছে।
ধর্ষণের শিকার ঢাবি ছাত্রীর কয়েকজন ঘনিষ্ঠজন ও শিক্ষকদের বরাতে জানা যায়, ওই লোক খুব দাম্ভিক ছিল। ধর্ষণের সময় ধর্ষক বারবার তার পরিচয় জানতে চায়। তখন মেয়েটি আন্দাজ করছিল, ঢাবি ছাত্রীর পরিচয় পেলে তাকে মেরে ফেলা হতে পারে। তাই তিনি মুখ খোলেননি।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেছেন।
ভুক্তভোগীর সহপাঠীরা জানান, রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে কুর্মিটোলায় নামার পর অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে অজ্ঞান করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরার পর তিনি সহপাঠীদের সাথে যোগাযোগ করেন। মধ্যরাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
Like & Share our Facebook Page: Facebook
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা