অনলাইন ডেস্ক
ডেসকোর আওতাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বিদ্যুতের গ্রাহক দিদারুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার এক ঘণ্টা লোডশেডিং করার কথা বললেও ২-৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। আমার এলাকায় বিদ্যুৎ যাওয়ার কথা বিকেল ৩টা থেকে ১ ঘণ্টা। কিন্তু লোডশেডিং হয়েছে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে। প্রথমবার ১ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকলেও পরে আরও দুবার বিদ্যুৎ চলে গেছে।’
ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাউসার আমির আলী বলেন, ‘আমার এলাকায় এক ঘণ্টা লোডশেডিং করার পরও ১ হাজার মেগাওয়াটের ওপর বিদ্যুৎ প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের সরবরাহ করা হচ্ছে ৮০০ মেগাওয়াট। আমাদের আগের শিডিউল অনুযায়ী সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে লোডশেডিংয়ের পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু এখন বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় রাত ৮টার পরও লোডশেডিং করতে হবে। একই সঙ্গে লোডশেডিংয়ের পরিমাণও বাড়বে।’
চাহিদা মতো বিদ্যুৎ না পাওয়ায় লোডশেডিংয়ের সময় বাড়িয়ে নতুন শিডিউল করা হবে বলে তিনি জানান।
বিদ্যুৎ বিতরণে দায়িত্বে থাকা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের তথ্য অনুসারে গতকাল বুধবার সারা দেশে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৪২০ মেগাওয়াট। উৎপাদন হয়েছে ১২০৫১ মেগাওয়াট। দেশব্যাপী লোডশেডিং ছিল ২০৮৫ মেগাওয়াট।
ডিপিডিসির একটি সূত্র বলেন, এক ঘণ্টা লোডশেডিং করার পর তাদের দরকার প্রায় ১৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। কিন্তু এখন সরবরাহ করা হচ্ছে ১৫৫০ মেগাওয়াটের মতো। প্রতিদিন ১৫০ মেগাওয়াট কম পাচ্ছেন। সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, ‘আমরা চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ প্রায় ১৪০-১৫০ মেগাওয়াট কম পাচ্ছি। এক ঘণ্টা লোডশেডিং করার পরও বিদ্যুতের ঘাটতি থাকার কারণে আমাদের অতিরিক্ত লোডশেডিং করতে হচ্ছে।’
গত সোমবার বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকার একগুচ্ছ পদক্ষেপ ঘোষণা করে। এই পদক্ষেপের অংশ হয়েছে বন্ধ রাখা হয়েছে ডিজেল চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরও বেশি।
সরকারি দপ্তরে বিদ্যুতের ব্যবহার ২৫ শতাংশ কমানোর জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। সরকারের ব্যয়-সাশ্রয়ে কার্যকর কর্মপন্থা ঠিক করতে গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের নিয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনতে সব মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় কর্মপন্থা নিরূপণ করবে। সরকারি সব দপ্তরে বিদ্যুতের ব্যবহার ২৫% কমাবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, যাঁরা তেল ব্যবহার করেন তাঁদের বরাদ্দ ২০ শতাংশ কমাতে হবে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা